শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো হোক, এই মর্মে এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তা-ই নয়, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানান তিনি।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে শুভেন্দুর আইনজীবী সময় চান। সেই আবেদন মেনে নিয়েছেন দুই বিচারপতি। মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
বিভিন্ন সভা সমাবেশ থেকে শুভেন্দু প্রায়ই অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘হিংসা’র মাধ্যমে জয়লাভ করতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল। এ ব্যাপারে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে তাঁর কথায়। সে সময় তৃণমূল, বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে, হিংসা করে ‘একপেশে ভাবে’ নির্বাচন করিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৎকালীন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী, অধুনা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। তবে শাসকদল ‘গায়ের জোরে’ পঞ্চায়েত দখল করতে চাইলে যে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, তা-ও হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ‘হিংসামুক্ত’ করতে শুধু রাজনৈতিক ভাবে নয়, আইনি পথেও যে তিনি লড়াই চালাবেন, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল তার এই পদক্ষেপে।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বে থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্ক্ষলা পরিস্থিতি রক্ষা করার জন্য কমিশন রাজ্য পুলিশেরই সাহায্য নিয়ে থাকে। বিরোধীদের তরফে বার বারই এই অভিযোগ তোলা হয় যে, শাসকদল কমিশনকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করে। অপর দিকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য প্রকাশ্যেই দলকে সাবধান করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy