প্রথম বার বিধায়ক হয়েই শুক্রবার মন্ত্রিসভায় শপথ নেবেন নন্দীগ্রামের নতুন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এটা নতুন খবর নয়। মাস ছয়েক আগে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় এ বার শুভেন্দুকে চান তিনি।
তা হলে নতুন কী?
নন্দীগ্রামের বিধায়ক হলেও তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু। নিয়ম মতো দু’টি আইনসভায় একই সঙ্গে ছ’মাস পর্যন্ত সদস্য থাকা যায়। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছেন, শুভেন্দু এখনই লোকসভা থেকে পদত্যাগ করুন। তাই শপথ নেওয়ার দিন সাতেকের মধ্যেই দিল্লি যেতে পারেন তমলুকের বর্তমান সাংসদ। স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের সঙ্গে দেখা করে লোকসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন শুভেন্দু। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ কাঁথির তিন বারের বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারীকে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে। তখন একই সঙ্গে দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা আসনেও উপ-নির্বাচন অনিবার্য হবে। প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ গুপ্তকে সেই কেন্দ্রে প্রার্থী করার ভাবনা রয়েছে তৃণমূলে। মণীশবাবু এ বার ভোটে হেরেছেন। কিন্তু ‘দক্ষ’ এই প্রাক্তন আমলাকে মন্ত্রিসভায় চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত তাই এই তড়িঘড়ি।
ভোটে মণীশবাবুর হার নিয়ে গত ক’দিনে বার বার দলের অন্দরে আক্ষেপ করেছেন মমতা। সেই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রথম কোনও উপ-নির্বাচনের সুযোগ পেলে মণীশবাবুকে সেখান থেকে জিতিয়ে মন্ত্রিসভায় আনবেন। কারণ, বিদ্যুৎ দফতরে মণীশবাবুর কাজে তিনি খুশি।
আনন্দবাজারের তরফে ফোন করা হলে শুভেন্দু অবশ্য এ নিয়ে কোনও জবাব দেননি। বলেন, ‘‘হতে পারে, আপনারা আমার থেকে বেশি জানেন।’’ তবে নয়াদিল্লির এক সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই স্পিকারের দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুভেন্দুর তরফে সময় চাওয়া হয়েছে। এখন স্পিকারের তরফে শুধু সময় দেওয়ার অপেক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy