Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Amit Shah Rally

অমিত সভায় বক্তৃতা করবেন মুকুল, দিলীপ এবং ‘শ্রী…’

শনিবার দুপুরে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভার বক্তা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে তিনি কে? আপাতত তিনটি বিন্দু। ডট-ডট-ডট।

মুকুল, দিলীপ, অমিতের সঙ্গে আর কে?

মুকুল, দিলীপ, অমিতের সঙ্গে আর কে?

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:৪০
Share: Save:

শনিবার দুপুরে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভার বক্তা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে তিনি কে? আপাতত তিনটি বিন্দু। ডট-ডট-ডট।

বেলা তিনটের কিছু পরে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে সেই শূন্যস্থান পূরণ হবে। তিনটি বিন্দুর জায়গা নেবেন সদ্য পঞ্চাশ-উত্তীর্ণ এক যুবক— শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সকালে আনন্দবাজার ডিজিটালের হাতে ওই মেগা-সভার যে বক্তা তালিকা রয়েছে, তাতে তাঁর নাম নেই। তালিকা অনুযায়ী বক্তৃতা করবেন মোট চারজন। প্রথম মুকুল রায়। তিনি ‘শ্রী ডট ডট ডট’কে বিজেপি-তে স্বাগত জানাবেন। মুকুলের পরেই বক্তার তালিকায় আছেন ‘শ্রী ডট ডট ডট’। ফলে মুকুল তাঁকে বিজেপি-তে স্বাগত জানাবেন। তার পরেই বলতে উঠবেন তিনি। শুভেন্দুর পর বক্তার তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সবশেষে অমিত।

বিজেপি-র অন্দরে যে রীতি চালু, তাতে বক্তাদের এই ‘লাইন-আপ’ বলছে, মুকুলের চেয়ে খানিকটা বেশিই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শুভেন্দুকে। এই ধরনের সভায় নেতাদের গুরুত্ব বিচার করে যিনি প্রধান বক্তা, তাঁর কাছাকাছি এবং আগে-পরে তাঁদের বলতে দেওয়া হয়। সেই নিরিখে দিলীপ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তিনি বলতে উঠবেন অমিতের ঠিক আগে। তাঁর আগেই শুভেন্দু। একেবারে প্রথমে মুকুল। তবে বিজেপি-র এক নেতার বক্তব্য, ‘‘এর মধ্যে গুরুত্বের কম-বেশি নেই। মুকুল আগে তৃণমূলে অলিখিত দু’নম্বর ছিলেন। তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্কও যথেষ্ট ভাল। তাই তাঁকে দিয়ে শুভেন্দুকে বিজেপি-তে স্বাগত জানানো হচ্ছে। এক অর্থে মুকুলই সভার স্বাগত ভাষণ দেবেন। ফলে তাঁকে বক্তার তালিকায় একেবারে প্রথমে রাখা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: এনআইএ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত, মেদিনীপুর যাওয়ার আগে একাধিক কর্মসূচি

বিজেপি সূত্রের খবর, অমিতের হাত থেকেই বিজেপি-র ঝান্ডা নেবেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে যাঁরা বিজেপি-তে যোগদান করবেন, তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেবেন অন্য নেতারা। ফলে শুভেন্দুর ‘গুরুত্ব’ সবদিক দিয়েই বেশি। শুভেন্দুকে যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা মেনে নিয়েছেন রাজ্যের এক বিজেপি সাংসদও। তাঁর কথায়, ‘‘শুভেন্দু প্রকৃত অর্থেই জননেতা। তিনি ডাকলে লক্ষ লোক আসে। তাঁকে তো গুরুত্ব দিতেই হবে! আমাদের আশা, শুভেন্দু দলে এসে রাজ্যে পরিবর্তনের অন্যতম কাণ্ডারি হয়ে উঠবেন। যেমন তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলায় আগের পরিবর্তনের।’’ শুভেন্দু-অনুগামীদেরও দাবি, তাঁদের ‘দাদা’র নেতৃত্বে রাজ্যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটতে চলেছে।

তবে শনিবার অমিতের সভার আগে শুক্রবার রাতে সামান্য হলেও ছন্দপতন ঘটেছে। কারণ, আসানসোলের প্রাক্তন পুর-প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি গভীর রাতে ঘোষণা করেছেন, তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। জিতেন্দ্ররও মেদিনীপুরের সভায় বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তিনিও সেই মতোই ধাপে ধাপে প্রথমে পুর-প্রশাসকের পদ এবং তার পর তৃণমূলের সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার তাঁর ‘বোধোদয়’ হয় বলে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের বক্তব্য। নিউ আলিপুরের একটি ক্লাবে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘আমি ভুল করেছিলাম। দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। আমি তৃণমূলেই আছি। দল ছেড়ে দিলেও দলেরই কাজ করব।’’

অন্যদিকে, কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকেও ‘আটকে দেওয়া গিয়েছে’ বলে দাবি করেছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে শনিবার সকাল থেকে শোনা যাচ্ছে, অমিতের সভায় বিশ্বজিৎও থাকতে পারেন। পাশাপাশিই শোনা যাচ্ছে পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের নামও। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু যেদিন বিধানসভায় গিয়ে বিধায়কপদে ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেদিন সুদীপ আগাগোড়াই তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

আরও পড়ুন: গঙ্গাজলে শাহর সভার মাঠ-শুদ্ধি অনুপমের, কটাক্ষ অনুব্রতর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE