Advertisement
১৬ অক্টোবর ২০২৪
Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari & Narendra Modi: রাজ্যের দাবিদাওয়া কি আদৌ ঠিক? প্রশ্ন তুলে মোদীকে মমতার পাল্টা চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু

শনিবার তিন পাতার চিঠিটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সঙ্গে আরও অভিযোগ করেছিলেন, এই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখার ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

মমতার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

মমতার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২২ ২০:১৭
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদলে রাজ্যের নামে প্রকল্প চালানো হচ্ছে। সঙ্গে ১০০ দিনের কাজেও ব্যাপক দুর্নীতি করছে তৃণমূল। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার তিন পাতার চিঠিটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সঙ্গে আরও অভিযোগ করেছিলেন, এই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখার ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে আদৌ সঠিক পথে চলছে কি না, তা নিয়েও মমতার অভিযোগকেই পাল্টা প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন শুভেন্দু।

রাজনীতির কারবারিদের মতে, মমতার চিঠির পাল্টা হিসেবেই বিরোধী দলনেতা প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন। শুভেন্দু লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃতিত্বকে মুছে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদল করে বাংলার আবাস যোজনা বলে চালিয়ে দিয়ে কৃতিত্ব নিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে প্রায় এক কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার এই প্রকল্প রূপায়ণে কৃতিত্বের একটি শব্দও কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য খরচ করেনি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার দাবি, অবিলম্বে আবাস যোজনা প্রকল্পকে সঠিক নামে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হোক।

সঙ্গে ১০০ দিনের কাজেও বাংলার শাসকদল ঢালাও দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে কাজ না করেই অর্থের দাবি করা হচ্ছে। কোথাও আবার ভুয়ো জব কার্ডের ব্যবহার করে এই প্রকল্পের অর্থ তছরুপ করা হচ্ছে। আবার কোথাও একটি কাজের ছবি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখিয়ে‌ প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছেন শাসক দলের নেতারা। ফলে বাংলার গ্রামীণ উন্নয়ন সব দিক থেকেই মার খাচ্ছে বলে দাবি করেছে্ন শুভেন্দু। পরিশেষে, এই সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE