Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
mukul roy

Suvendu Adhikari: মুকুল শুনানি: স্পিকারকে সময় বেঁধে দেওয়ার আর্জি নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন শুভেন্দু

শুভেন্দু বলেন, ‘‘বামেরা যখন দীপালি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করেছিল, তখন ২৩টি শুনানি হয়। তাও নিষ্পত্তি হয়নি।’’

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২১ ১৬:১৯
Share: Save:

স্পিকারের কাছে আবেদনের পাশাপাশি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার বিষয়ে আদালতেও যাবে বিজেপি। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে এসে অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, ‘‘স্পিকারের সঙ্গে কী কথা হল, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। শুনানি নিয়ে মন্তব্য করব না। ওটা আইনের বিষয়। দলবদলের ঘটনা গত ১০ বছরে ৫০টা ঘটেছে। সারা দেশে যেমন আর কোথাও ভুয়ো টিকা পাওয়া যায় না, তেমনই পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হয় না।’’

শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলছি, তৃণমূলের পরিচালিত ব্যবস্থার উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। আমরা বিজেপি-র পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেব। তথ্য প্রমাণ জমা দেব। এই ধরনের ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে শুনানি শেষ হয়, তার জন্য আবেদন করব।’’

এই কথা বলার পাশাপাশি শুভেন্দু গাজলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘‘বাম পরিষদীয় দল যখন দিপালী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করেছিল, তখন ২৩টি শুনানি হয়। তাও নিস্পত্তি হয়নি। তাই এই ব্যবস্থার উপরে আস্থা নেই।’’

তাহলে আদালতের কাছে কী আবেদন করবেন শুভেন্দুরা? তিনি বললেন, ‘‘রাজ্যে যাতে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হয়, তার জন্য আবেদন করা হবে। এর পাশাপাশি আদালতে আবেদন করা হবে এই বিষয় নিষ্পত্তির জন্য যেন নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় আদালত।’’

শুভেন্দু অবশ্য বলেছেন, ‘‘স্পিকার এই বিষয়ের শুনানিতে যতবার ডাকবেন, ততবার আসব। কিন্তু আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই মনে হচ্ছে, এ ভাবে নিষ্পত্তি হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP mukul roy Suvendu Adhikari
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE