Advertisement
E-Paper

চা বাগানে পারদ চড়ছে প্রত্যাশার

মঙ্গলবার দুপুরে কপ্টারে করে টিলাবাড়িতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপর সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব ভঙ্গিতে জনসংযোগ শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের নাগালে দু’রাত কাটাতে দেখে প্রত্যাশা বাড়তে থাকে ডুয়ার্সে।

সব্যসাচী ঘোষ

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:২৮

চা শ্রমিকদের যেমন প্রত্যাশা মজুরি কাঠামো শক্তিশালী হোক, তেমনই চা বাগান মালিকদেরও প্রত্যাশা বাগান এলাকাতে সরকারি অর্থে উন্নয়ন হোক। বনবস্তিবাসীদের প্রত্যাশা, ধান হাতিতে খেয়ে নিলে যাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণটা অন্তত মেলে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সরকারি পদক্ষেপ। জঙ্গল ও চা বাগান লাগোয়া প্রত্যন্ত টিলাবাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকায় তাঁকে ঘিরে এ ভাবেই বাড়ছে প্রত্যাশা।

মঙ্গলবার দুপুরে কপ্টারে করে টিলাবাড়িতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপর সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব ভঙ্গিতে জনসংযোগ শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের নাগালে দু’রাত কাটাতে দেখে প্রত্যাশা বাড়তে থাকে ডুয়ার্সে। ডুয়ার্সের যেখানে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন সেই এলাকা-সহ ৯০টি বড় চা বাগানের মালিকপক্ষের সংগঠন ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ অব ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুমন্ত গুহঠাকুরতা বলেন, “বাগানের ভেতরে শ্রমিক মহল্লাগুলোর রাস্তা, জল, শৌচাগার রাজ্য সরকার করে দিলে আমাদের অনেকটাই চাপ কমে যাবে।” আবার মুখ্যমন্ত্রীর টিলাবাড়ির কটেজের সামনেই থাকা বড়দিঘি চা বাগানের বাসিন্দা অভয় ওঁরাও, সোমারু মুণ্ডারা বললেন, “আমাদের মজুরি কাঠামো সম্মানজনক স্তরে পৌঁছে যাক আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেটাই চাই।” পর্যটন ব্যবসায়ীরা আবার চাইছেন গরুমারা জাতীয় উদ্যানে একযোগে সবকটি নজরমিনার ভ্রমণ ও হাতি সাফারির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা যাতে পূর্ণ হয়।

অনেকেই ভেবেছিলেন টিয়াবনের অনুষ্ঠান সেরে সেখান থেকেই কপ্টারে করে ফিরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বুধবারেও আবার তিনি টিলাবাড়িতে রাত্রিবাস করতে ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত হন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবারের মতোই এ দিনও বিকেলে গরুমারার জঙ্গলের পথে জাতীয় সড়ক ধরে হাঁটতে দেখা যায়। হাসি মুখে সকলকে নমস্কার করতে করতে হাঁটেন তিনি।

এ দিনের সরকারিসুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে ৯০ হাজার মানুষ আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি থেকে যোগ দেন বলেই তৃণমূলের দাবি। কিন্তু সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়েই সমর্থকদের আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। চা শ্রমিকেরা সে ভাবে যোগ দেননি বলেও বিজেপির দাবি। তবে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সভাতে এসেছেন। সেখানে দলকে ভালবেসে পতাকা আনলে অসুবিধার তো কিছু নেই।” বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “এতো রাজ্য সরকার নয়, আদপে তৃণমূলের সরকার তাই দলীয় পতাকার এতো ছড়াছড়ি।”

Tea Garden Mamata Banerjee Tea Tourism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy