প্রতীকী চিত্র
বাড়ির এক ঘরে আগুনে পুড়ে গিয়েছেন বছর পঁয়ত্রিশের স্কুলশিক্ষক। পাশের ঘরে ছিলেন তাঁর দুই বোন। শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দুই বোনের বাঁ হাতের শিরায় সদ্য হওয়া ক্ষত দেখতে পেল পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের ব্রাহ্মণবহড়া গ্রামের ঘটনা। সোমবার বৃন্দাবন মণ্ডল (৩৫) নামে ওই শিক্ষকের দেহ উদ্ধার হয়। সিউড়ি হাসপাতালে দুই বোনকে ভর্তি করায় পুলিশ।
পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল জানান, বৃন্দাবনবাবুর মা মারা গিয়েছেন দীর্ঘদিন। বাবা, দুই বোনকে নিয়ে তাঁর সংসার। দুই বোনই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। আত্মীয়দের একাংশের দাবি, ছোট বোনের বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। চাষ করার পাশাপাশি, প্রভাতবাবু কীর্তন ও পালায় গান করেন। রবিবার রাতে তিনি পাশের গ্রামে কীর্তনের আসরে গিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করে কারও সাড়া পাননি প্রভাতবাবু। পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকেন তিনি। তখনই দেখেন, দোতলার ঘরের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। দোতলায় ওঠার সিঁড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। চিৎকার করে পড়শিদের ডাকেন তিনি। শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে দোতলায় ওঠেন সকলে।
প্রভাতবাবুর সম্পর্কিত ভাই রোহিত মণ্ডলের দাবি, উপরে উঠে তাঁরা দেখেন, একটি ঘরে বিছানায় আগুনে পুড়ছেন তাঁর ভাইপো। পাশের ঘরে দরজা বন্ধ করে রয়েছেন দুই ভাইঝি। আচমকা প্রভাতবাবুর বড় মেয়ে দরজা খোলেন। রোহিতবাবুর কথায়, ‘‘বড় ভাইঝি বলল, ‘তোমরা চলে যাও। পুলিশ এসে যা করার করবে’। বলেই প্রভাতদাকে টেনে ঘরে ঢুকিয়ে ফের দরজা বন্ধ করে দেয়।’’ পড়শিদের একাংশের দাবি, তিন ভাইবোনের মধ্যে মনোমালিন্য লেগে থাকত। পুলিশ জানায়, জেরায় দুই বোনের দাবি, বৃন্দাবন আত্মহত্যা করেছেন। তার কারণ কী, বোনেদের হাতেই বা ক্ষত হল কী ভাবে— এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy