প্রতীকী ছবি।
মিড ডে মিলের চালের খালি বস্তা ফেরত চাইছে রাজ্য সরকার। এই মর্মে সরকারি একটি নির্দেশিকা ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের অন্দরেই। প্রশাসনের এই নির্দেশিকায় শিক্ষকদের সম্পর্কে অবিশ্বাস ও অসম্মান ছড়ানোর আশঙ্কা করছে শাসক দলের শিক্ষক সংগঠন। রাজ্য স্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে না হলেও মালদহের আঞ্চলিক স্তরে পাঠানো এই নির্দেশে বৃহত্তর অংশে সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হতে পারে বলেই মনে করছে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন। বিডিও উষ্ণতা মোক্তান অবশ্য বলেন, ‘‘রাজ্য প্রশাসনের তরফেই মিড ডে মিলের খালি বস্তার হিসেব চাওয়া হয়। এটা গাজোলের জন্য আলাদা নির্দেশিকা নয়। সর্বত্রই এই বস্তা বিক্রি করে তার অর্থ মিড ডে মিলের তহবিলে জমা করার নিয়ম রয়েছে।’’
মিড ডে মিলের চাল বণ্টন নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় অভিযোগ ছিল। তবে তা বন্ধ করতে দেওয়া এই নির্দেশিকা ঘিরে নতুন বিপত্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। মালদহের গাজোলের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) জেলার সব স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পাঠানো এই লিখিত নির্দেশে (মেমো: ১৯৪০/গাজোল) বলেছেন, ‘এতদ্বারা সকল শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের জানানো যাইতেছে যে মধ্যাহ্নকালীন আহার ( মিড ডে মিল)-এর খালি চালের বস্তা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি জানিয়েছেন, এই নিয়ম সব সময় কার্যকর করা যায়নি। রাজ্য স্তর থেকে তা বারবার করতে বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘বস্তা সংগ্রহ করে তা বিডিও অফিসে ফেরানোর কিছু সমস্যা থাকতে পারে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে চাই। শিক্ষকদের অসম্মান করার কোনও প্রশ্ন নেই।’’ তৃণমূলপন্থী প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘শিক্ষকদের কাছে শূন্য চালের বস্তা ফেরৎ চাওয়া তাঁদের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক। এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy