Advertisement
E-Paper

দাড়িভিটে স্কুলে গেলেন না শিক্ষকেরা

গত ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট স্কুলের সামনে গুলি চলে বলে অভিযোগ। তাতে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:৪২
ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

পুজোর ছুটিও পড়ে গেল। কিন্তু স্কুলমুখী হওয়ার সাহস দেখালেন না দাড়িভিটের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ফলে পুজোর ছুটির আগে স্কুল খোলার শেষ আশাটুকুও এ দিন শেষ হয়ে গেল।

গত ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট স্কুলের সামনে গুলি চলে বলে অভিযোগ। তাতে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়। এক ছাত্র ও এক পুলিশকর্মী জখম হন। সেই দিন থেকেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে স্কুলের ভবিষ্যৎ। স্কুলের দরজায় নিহত ছেলেদের ছবি ঝুলিয়ে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন রাজেশ-তাপসের পরিবারের লোকজন। দুই মা নিয়মিত বসছেন দরজার সামনে। তাঁদের দাবি, দু’জনের মৃত্যুর সঠিক তদন্তের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলা যাবে না।

এই পরিস্থিতিতে দাড়িভিট স্কুলে গিয়েছিলেন কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে সাফ বলে দেন, আগে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে আসুন। স্কুল যাওয়ার জন্য দিনও ইসলামপুর টাউন লাইব্রেরি হলে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রধান শিক্ষককে ছাড়া কেউই স্কুলে যেতে রাজি নন। কাজেই ঘণ্টাখানেক সেখানে অপেক্ষা করে তাঁরা ফিরে যান। তবে প্রধান শিক্ষক এদিনও কোন মন্তব্য করতে চান নি।

এর মধ্যে ঘটনার দিন ওই স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশ ডাকার অভিযোগ তুলে ইসলামপুর থানায় নালিশ দায়ের করেন রাজেশের বোন মৌ সরকার। সঙ্গে ছিলেন ওই এলাকার কয়েক জন ছাত্রীও। পরে মৌ আরও অভিযোগ করেন, এ দিন থানায় তাঁদের ঘণ্টাখানেক বসিয়ে রাখা হয়। পুলিশ থেকে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাওয়া হয়নি।

অন্য দিকে, মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা এ দিন ইসলামপুরে বসেই তদন্তের কাজ চালিয়েছেন। তাঁরা এ দিন কথা বলেন ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল ও ভারপ্রাপ্ত এসডিপিও-র সঙ্গে।

Teacher darivit Islampur School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy