হোমে পাঠানো হল ট্যাংরা-কাণ্ডে হাসপাতালে থাকা কিশোরকে। শিশু কল্যাণ কমিটি উদ্যোগে এবং কিশোরের বাবা প্রণয় দে-র সম্মতি নিয়ে তাকে শনিবার হোমে পাঠানো হয়েছে। তবে, এখনও এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে প্রণয়ের। বাবার সঙ্গেই এত দিন হাসপাতালে ছিল তাঁর কিশোর ছেলে। উল্লেখ্য, গত
১৯ ফেব্রুয়ারি ই এম বাইপাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে ট্যাংরার অটল শূর রোডে একটি বাড়ি থেকে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, পরিবারের ওই তিন জনকে মেরে গাড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করতে বেরিয়েছিলেন প্রণয়, প্রসূন এবং প্রণয়ের কিশোর ছেলে। অভিষিক্তা মোড়ের কাছে পিলারে গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারলে তিন জনকে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো
হয়। পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় এন আর এসে। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরে প্রসূনকে গ্রেফতার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ। তিনি আপাতত জেল হেফাজতে আছেন। জেরায় প্রসূন জানান, প্রথমে নিজের মেয়ে, তার পরে স্ত্রী এবং শেষে বৌদিকে তিনি মেরেছিলেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)