Advertisement
০২ মে ২০২৪
Teacher Recruitment Scam Case

কেন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মানিক

২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী শাহিলা পরভীনের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

TET and SSC recruitment scam: Manik Bhattacharya appeal division of Calcutta High Court to stay orders to seize his property

মানিক ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫২
Share: Save:

সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। জরিমানার ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

হাই কোর্ট সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, দেশে-বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে, তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জরিমানার অর্থ না মেটানো পর্যন্ত তাঁকে সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না।

২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী শাহিলা পরভীনের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে মানিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ, পরীক্ষা দিলেও ফলাফল তিনি জানতে পারেননি শাহিলা। পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছেন তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) তা জানতে চান তিনি। নিজের ওএমআর শিটটিও দেখতে চান। মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শাহিলাকে আসল ওএমআর শিট দেখানো হয়নি। এ ক্ষেত্রেও কারচুপি করা হয়েছে। যার ফলে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মামলাকারী।

মামলার শুনানির পর মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীর আইনজীবী তীর্থঙ্কর দে জানান, মানিক প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। আদালতের সেই নির্দেশের কথা তিনি জেল কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু জরিমানার টাকা মানিক দেননি। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিলও করেননি তিনি। তার পর সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যত দিন না মানিক জরিমানার টাকা মেটাচ্ছেন, তত দিন পর্যন্ত তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাখবে তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন মানিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE