মানিক ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে ইডি হেফাজতে ঢোকার সময় নীরবই থাকলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। গাড়ি থেকে নামার সময় তাঁর উদ্দেশ্যে একাধিক প্রশ্ন এলেও কোনও প্রশ্নের উত্তর দিলেন না মানিক। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে ফিরে ইডির দফতরে গাড়ি থেকে নামার সময় তাপস মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় মানিককে। কিন্তু তিনি চুপ করেই ছিলেন। তাঁকে টাকার লেনদেন নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কোনও জবাব দেননি। এর পর ইডি আধিকারিকদের ঘেরাটোপে দফতরের ভিতরে চলে যান মানিক।
রবিবার সকালে মানিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়।
প্রসঙ্গত, অপসারণে স্থগিতাদেশ পেলেও এখনই ইডি হেফাজত থেকে মুক্তি পাননি পলাশিপাড়ার বিধায়ক। তাঁকে আপাতত থাকতে হবে ইডি হেফাজতেই। বৃহস্পতিবার মানিকের আবেদন খারিজ করে এমনটা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ইডি হেফাজতে থাকতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের তরফে সিবিআইয়ের গ্রেফতারির হাত থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন মানিক। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসহযোগিতা এবং বয়ানে অসঙ্গতির অভিযোগে মানিককে গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকরা। আর এর পরই ইডির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক। কিন্তু খারিজ করা হয় সেই আবেদন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy