Advertisement
E-Paper

রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন মিলল না, অনিশ্চিত বহু পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ

বিএড কলেজ চালানোর জন্য কেন্দ্র নির্দেশিত যে নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি রয়েছে, এ রাজ্যের ওই বেসরকারি কলেজগুলিতে পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২১

—ফাইল চিত্র।

শিক্ষকতার পাঠ দেওয়া রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের সরকারি অনুমোদন আপাতত ‘বাতিল’ হল। এই কলেজগুলির অনুমোদন পুনর্নবীকরণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।

এই ধরনের কলেজ চালানোর জন্য কেন্দ্র নির্দেশিত যে নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি রয়েছে, তা ওই কলেজগুলিতে পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বিআর অম্বেডকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আগাম সতর্ক করা হলেও তা মানেনি বেসরকারি কলেজগুলির একাংশ। সে জন্যই আইন না মানা কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিক্ষক হতে চাওয়া হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ।

শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যে ডিগ্রি, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই সমস্ত কলেজে। রাজ্যে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার সরকারি কলেজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাত্র ২৪টি। তার তুলনায় বেসরকারি কলেজের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রায় ৬০০টি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ নেন লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী। শুক্রবারের সিদ্ধান্তে এঁদের মধ্যে অনেকেরই ভবিষ্যৎ আপাতত অনিশ্চিত।

রাজ্যের এই ধরনের কলেজগুলির অনুমোদন দেয় বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। তবে যে নিয়মের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়, তা নির্ধারণ করে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই। সেই নিয়ম বলছে এই কলেজগুলিতে ছাত্র এবং শিক্ষকের সংখ্যার একটি নির্দিষ্ট অনুপাত বজায় রাখতে হবে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর শুরুতে সেই নিয়মের কথা স্মরণ করিয়েও দিয়েছিল কলেজগুলিকে।

প্রতি বছরই সরকারি অনুমোদন পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করতে হয় এই বেসরকারি কলেজগুলিকে। এ বছর সেই আবেদনের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়, নিয়ম না মানলে সরকারি অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ হবে না। ৪ অক্টোবর ছিল অনুমোদনর জন্য আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। জমা পড়া আবেদন যাচাই করে দেখা যায়, বেসরকারি কলেজগুলির মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশোটি কলেজ নিয়ম মেনেছে। নিয়ম মানা হয়েছে সরকারি বিএড কলেজগুলিতেও। বাকিরা মানেনি। এর পরেই এই বাকি ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে আপাতত এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনুমোদন না পেলেও এনসিটিই নিয়ম মেনে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত যথাযথ ভাবে বজায় রেখে আবার আবেদন করলে তারা অনুমোদন পেতে পারে। তবে এই অনুমোদন যদি যথাসময়ে পাওয়া না যায়, তবে যে ছাত্রছাত্রীরা শেষ বছরের সেমেস্টার দিয়ে বেরোবেন তারা সরকার অনুমোদিত কলেজের শংসাপত্র পাবেন কি না অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছে তা নিয়েও।

WB Education B ED
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy