Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নদী পেরিয়ে দুর্গত নাগরাকাটায় সব্জি-ফল পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য, দুর্গতদের মুখে খাবার তুলে দেওয়াই লক্ষ্য

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা ও টনডু গ্রাম। সেখানে সেতু ভেঙে যাওয়ায় নদী পার হয়ে সব্জি ও ফল পৌঁছে দিচ্ছেন সুফল বাংলার কর্মীরা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৫
নদী পেরিয়ে উত্তরবঙ্গে দুর্গত এলাকায় সবজি এবং ফল পৌঁছে দিচ্ছে কৃষি বিপণন দফতর।

নদী পেরিয়ে উত্তরবঙ্গে দুর্গত এলাকায় সবজি এবং ফল পৌঁছে দিচ্ছে কৃষি বিপণন দফতর। নিজস্ব ছবি

বন্যা ও ধস কবলিত উত্তরবঙ্গের চার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দুর্গত এলাকায় ফল ও সব্জি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে কৃষি বিপণন দফতর। ত্রাণ সরবরাহের পাশাপাশি চালু করা হয়েছে সুফল বাংলার অতিরিক্ত ৬৫টি ভ্রাম্যমাণ বিপণি। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে এসে এই তথ্য জানিয়েছেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। পাশাপাশি দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও এই সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্যোগের জেরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয় হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ বিপণি চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে ৬৫০০০ কেজিরও বেশি আলু এবং ১৫০০০ কেজিরও বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয়েছে। শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে দার্জিলিং জেলার দুর্গতদের জন্য পাঠানো হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার কেজি আলু ও সবজি, কালিম্পংয়ে গেছে আরও ১৭ হাজার কেজি।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা ও টনডু গ্রাম। সেখানে সেতু ভেঙে যাওয়ায় নদী পার হয়ে সবজি ও ফল পৌঁছে দিচ্ছেন সুফল বাংলার কর্মীরা। একইসঙ্গে ওই এলাকায় দুটি ভ্রাম্যমাণ বিপণির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে আলু, পেঁয়াজ, সব্জি ও ফল বিক্রি করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে ১১০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। এ ছাড়াও জেলার দুর্গত এলাকাগুলিতে আরও ৩০টি নতুন ভ্রাম্যমাণ বিপণি চালু করা হয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও নতুন পাঁচটি বিপণি খোলা হয়েছে।

মন্ত্রী বেচারাম বলেন, “দুর্যোগের সময় মানুষকে একা ফেলে রাখা যাবে না। আমরা প্রতিদিন সব্জি, ফল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছি।”

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy