Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
COVID 19

Doctors' Day: সীমান্তে সেনা-মৃত্যুকে ছাপিয়ে গিয়েছে কোভিডে চিকিৎসকদের মৃত্যু, বলছেন অতিমারি সৈনিকরা

প্রত্যেক বছরই ১ জুলাই চিকিৎসক দিবস পালন করা হয় গোটা বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু এ বছর ‘শহীদ দিবস’ পালনের আর্জি জানালেন চিকিৎসকেরা।

কোভিড রোগীয় চিকিৎসা করছেন এক চিকিৎসক।

কোভিড রোগীয় চিকিৎসা করছেন এক চিকিৎসক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২১ ১৬:৩৯
Share: Save:

জীবন বাজি রেখেই তাঁরা লড়ে যাচ্ছেন। বিগত দেড় বছর ধরে নিরলস পরিশ্রমের পরও তাঁরা ক্লান্ত নন। কর্তব্যে অবিচল থাকতে গিয়ে অতিমারির দুই ঢেউ মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার ‘কোভিড যোদ্ধা’ চিকিৎসক। ১ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার চিকিৎসক দিবসের দিনে পশ্চিমবঙ্গ চিকিৎসক মঞ্চের সদস্য অর্জুন দাস বললেন, ‘‘কোভিডে যত চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, সীমান্তে যুদ্ধের সময়েও এত সেনা শহিদ হন না।’’

প্রত্যেক বছরই জুলাইয়ের ১ তারিখে চিকিৎসক দিবস পালন করা হয়ে থাকে গোটা বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু এ বছর ‘শহীদ দিবস’ পালনের আর্জি জানালেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের দাবি, গত দেড় বছরে প্রায় ১,৫০০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের ওই ৯ মাসে দেশে প্রাণ গিয়েছে ৭৫০ জনের। পশ্চিমবঙ্গেও প্রায় ১০০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৯৪ জন কোভিড-যোদ্ধা। রাজ্যে ৬২ জন। এই পরিস্থিতিতে মৃতদের শহিদের সম্মান জানাতে চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল চিকিৎসকদের সংগঠনগুলি। বাংলায় রাজ্য সরকার চিকিৎসক দিবসে ছুটিও ঘোষণা করেছে।

রাজ্যে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শান্তনু সেন বলেন, ‘‘আমার জীবনের বাজি রেখে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি। চিকিৎসক নিগ্রহ বন্ধ করার শপথ নেওয়া উচিত আমাদের এই দিনে। রাজ্য সরকার তো ছুটি ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রেরও করা উচিত। সাধারণ মানুষের থেকে চিকিৎসকদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ১৮ শতাংশ বেশি। কিন্তু তার পরও আমরা শপথ মনে রেখেই এই লড়াই চালিয়ে যাব।’’

গোটা বিশ্ব জুড়ে ১,১৫,০০০ জনের মতো স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই অতিমারি সঙ্কটে আর কোন পেশায় এত মৃত্যু হয়েছে? প্রশ্ন তোলেন অর্জুন দাস। তিনি বলেন, ‘‘কত কম বয়সে কত চিকিৎসকের মৃত্যু হল। সরকার যাতে তাঁদের পরিবারের পাশে থাকে, তার আবেদন জানাচ্ছি।’’ বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং রাজ্যের কোভিড সংক্রান্ত উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী দিনে চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষের আরও সুসম্পর্ক তৈরি হওয়া উচিত। সমস্ত বিবাদ ভুলে মনুয্যত্বকে বাঁচাতে হবে আমাদের। অনেকেই অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ময়দান ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা তা করেননি।’’

টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিশেষজ্ঞ শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক বলেন, ‘‘অতিমারির প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। কিন্তু এই দ্বিতীয় ধাক্কায় চিকিৎসক মৃত্যুর সংখ্যা তুলনায় একই আছে। এর মূল কারণ হল টিকাকরণ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেই চিকিৎসকেরা টিকা পাওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হয়েছে আমাদের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Doctors COVID 19 COVID Warriors
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE