—প্রতীকী চিত্র।
বঞ্চনার অভিযোগে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে আন্দোলন শুরু করলেন রাজ্যের সিবিআই আদালতের কর্মচারীরা। তাঁদের অভিযোগ, এক দশকের বেশি সময় ধরে তাঁরা সিবিআই আদালতের কর্মচারী হিসাবে কাজ করছেন। অথচ তাঁদের বেতন থেকে শুরু করে সুযোগ-সুবিধা কোনওটিই বৃদ্ধি করা হয়নি।
রাজ্যে মোট সাতটি সিবিআই আদালত রয়েছে। এর মধ্যে ছ’টি আদালতের কর্মীরা এই আন্দোলন শুরু করেছেন। এর মধ্যে ব্যাঙ্কশালের তিনটি আদালত রয়েছে। রয়েছে আলিপুর আসানসোল এবং শিলিগুড়ি আদালতও। ফলে রাজ্যে সিবিআইয়ের হাতে যে সমস্ত মামলা রয়েছে এবং যে মামলাগুলির শুনানি এই আদালতে চলছে, সেগুলি নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। বুধবারই আলিপুরের সিবিআই আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি রয়েছে। আদালত কর্মচারীদের কর্মবিরতি চললে মামলার শুনানি আদৌ হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। একই সমস্যা হতে চলেছে এনআইএ-র হাতে থাকা মামলাগুলির শুনানির ক্ষেত্রেও।
যদিও সিবিআই আদালত কর্মীরা তাঁদের আন্দোলনে অনড়। তাঁদের অভিযোগ ১২ বছর ধরে তাঁরা চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন এই সিবিআই আদালতের কর্মী হিসাবে। অথচ তাঁদের এখনও পর্যন্ত স্থায়ী কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, বেতন বা প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি করা হয়নি। যা সাধারণত সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে।
সিবিআই আদালত কর্মীরা বলেছেন, প্রতি বছরই কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই আদালতের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করে। কিন্তু তাতে তাঁদের অবস্থান বদলায় না।
ওই কর্মচারীদের দাবি, এই অভিযোগ নিয়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করে আন্দোলনে নামার আগে তাঁরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। মুখ্যসচিব, এমনকি, হাই কোর্টেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি। তাই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy