—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বীরভূমে রাজ্য সড়ক বা জাতীয় সড়কের উপরে বালি বা পাথরের ট্রাক দাঁড় করিয়ে ‘তোলা’ আদায়ের অভিযোগ জেলা পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে নতুন নয়। তবে, সেই ‘তোলা আদায়’ এ বার জেলা পুলিশ সুপারের কড়া নির্দেশে বন্ধ হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রেই দাবি করা হচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, গত ২৬ অগস্ট থেকে জেলার নলহাটি থেকে জয়দেব কিংবা ইলামবাজার, খয়রাশোলের ভীমগড় পর্যন্ত কোনও থানার কোনও পুলিশ-গাড়ি বড় রাস্তায় উঠছে না।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রতিটি থানাকে পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ‘প্রকৃত কারণ’ ছাড়া কোনও পুলিশ গাড়ি বড় রাস্তায় উঠবে না। গাড়ি থানা ছেড়ে কেন রাস্তায় উঠছে, তা ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিককে জানাতে হবে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ তবে, এমন নির্দেশের সত্যতা মেনেছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা। কেন এই নির্দেশ, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
সূত্রের দাবি, বড় রাস্তা বলতে মূলত জাতীয় ও রাজ্য সড়ককে বোঝানো হয়েছে। তবে জেলার কয়েকটি প্রধান সড়কও রয়েছে এর মধ্যে। যদিও প্রশাসন সূত্রে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
বীরভূম থেকে রোজ ’শয়ে ’শয়ে বালি-পাথরের গাড়ি কলকাতা এবং ভিন্ জেলায় যায়। বালি, পাথর তো বটেই, কখনও কখনও কয়লা বা অন্য পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড় করিয়ে বীরভূমের প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশের টাকা তোলে বলে ট্রাক ও ডাম্পার চালকেরাও একাধিকবার অভিযোগ তুলেছেন। জেলা পুলিশের একাংশের ধারণা, পুলিশের ‘তোলা আদায়’ নিয়ে হয়তো রাজ্যে প্রশাসনিক মহলের উঁচুস্তর থেকে থেকে কোনও বার্তা এসেছে এসপি-র কাছে। তার ফলেই এই নির্দেশ।
পুলিশের একাংশের অবশ্য দাবি, রাতভর প্রতিটি থানার টহলদার গাড়ি রাস্তায় থাকে। পথ দুর্ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। বারবার সশস্ত্র দুষ্কৃতী ধরা পড়ে টহলদারির সময়। টহলই বন্ধ হয়ে গেলে অপরাধ বাড়বে না তো? তোলা আদায়ের ‘যৌক্তিকতা’ নিয়েও কেউ কেউ বলতে চেয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনেরই একটি অংশের মতে, কোনও যুক্তিতেই তোলা আদায়কে ব্যাখ্যা করা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy