১৩ মার্চ বিকেলে পুরুলিয়ার ঝালদার রাস্তায় আততায়ীদের গুলিতে খুন হন সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করার পরে, নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুরুলিয়া আদালতে তোলা হচ্ছে ঝালদার কাউন্সিলর খুনে অভিযুক্ত দীপক কান্দুকে। নিজস্ব চিত্র।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) চিন্ময় মিত্তলের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের দল গড়া হয়েছে। মামলার তদন্তকারী অফিসারকে সাহায্য করবে তারা। পাশাপাশি, সিআইডি-র একটি দলও এ দিন নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। তদন্তে সিআইডি সহায়তা করবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে নিহতের পরিবার ও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সিবিআই তদন্ত না হলে, ‘আসল সত্য’ সামনে আসবে না।
১৩ মার্চ বিকেলে পুরুলিয়ার ঝালদার রাস্তায় আততায়ীদের গুলিতে খুন হন সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করার পরে, নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে আইসি (ঝালদা) সঞ্জীব ঘোষ, নিহতের ভাইপো দীপক কান্দু ও তাঁর বাবা নরেন কান্দু-সহ ছ’জনের নাম রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে দীপককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে বুধবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘‘ডিএসপি (সদর)-কে তদন্তকারী অফিসার করে ছয় সদস্যের ‘সিট’ গঠন করা হয়েছে।’’ বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি অভিযুক্ত আইসি-র সঙ্গে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিট-এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) ছাড়াও, রয়েছেন এসডিপিও (ঝালদা) সুব্রত দেব, ডিএসপি (ডিইবি) সমীর অধিকারী, ডিএসপি (সদর) অরুণাভ দাস, সিআই (বলরামপুর) পার্থ সিংহ এবং জেলার এক ‘প্রবেশনার’ আইপিএস জে জন। পূর্ণিমাদেবীর বক্তব্য, ‘‘আমার অভিযোগ ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধেও। তিনি এখানকার থানার দায়িত্বে। ঘটনার পরে, ঝালদা থানার কেউ আমার সঙ্গে দেখা করেননি। পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই। সিবিআই তদন্ত ছাড়া, রহস্য উন্মোচন হবে না।’’ পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোরও দাবি, ঘটনায় সরাসরি আইসি-র নাম জড়িয়েছে। একটি ‘অডিয়ো ক্লিপ’ (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ‘ভাইরাল’ হয়েছে। তাতে আইসি সঞ্জীব ঘোষ তপনবাবুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকে কী ভাবে ‘চাপ’ দিচ্ছিলেন, তা শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ নেপালবাবুর। তাঁর দাবি, ‘‘কার কথা মতো আইসি চাপ দিচ্ছিলেন, তা সামনে আসা জরুরি। আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তই চাই।’’
নিহতের বাড়িতে যাওয়া সিআইডি-র আধিকারিকেরা কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, তপনবাবুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর দাবি, ‘‘ওঁরা পারিবারিক নানা বিষয় জানতে চেয়েছেন.... সবই জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy