বিমান বসু।
আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরসভায় ভোট। কিন্তু ক্রমবর্ধমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বৃদ্ধির কারণে শঙ্কার পরিবেশ রাজ্য জুড়ে। যদিও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেই ভোট হবে বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে। সেই ভোট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল বামফ্রন্ট। সেই চিঠিতে ভোটের আগের পরিস্থিতি বিবেচনা করতে সর্বদল বৈঠক ডাকতে আবেদন জানানো হয়েছে। বামফ্রন্টের তরফে চিঠিটি লিখেছেন, বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। মূলত দু'টি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে, প্রথমতঃ,বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও কতটা অবনতি ঘটতে পারে অবিলম্বে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হোক। সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবগত হতে বলা হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ, অবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সংগঠিত করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নে আলোচনা করতে হবে বলেও দাবি তোলা হয়েছে।
এই চিঠির আগে ৩০ ডিসেম্বর আরও একটি চিঠি বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। সেই চিঠির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যখন কোভিড সংক্রমণজনিত সমস্যা ছিল না, তখন রাজ্যের বিভিন্ন পুরনিগম ও পুরসভায় নির্বাচন গত তিন বছর ধরে বকেয়া পড়েছে। রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলি পরিচালনা করতে চায়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে। সঙ্গে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে চিঠির শেষাংশে বলা হয়েছে বর্তমানে সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে ২২ জানুয়ারি আদৌ নির্বাচন করা সম্ভব কি-না সে বিষয়ে সর্বদল বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আবেদন জানাচ্ছে বামফ্রন্ট।
এ ছাড়াও দেশ তথা রাজ্যে বেড়ে চলা কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বামফ্রন্টের চিঠিতে। তাতে লেখা হয়েছে চারটি পুরসভার নির্বাচনে প্রার্থীরা অবাধ প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ৫০০ জনের পরিবর্তে ২০০ জনকে নিয়ে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা কোভিডে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় তারা পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনার আবেদন করছেন এই পত্র মারফত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy