Advertisement
E-Paper

বয়স-বিধিতে কমছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

পর্ষদকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে ছ’বছরের কম বয়সি শিশুদের প্রথম শ্রেণিতে এবং দশ বছরের নীচে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৫৫
গত বার রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল সাড়ে দশ লক্ষের আশেপাশে।

গত বার রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল সাড়ে দশ লক্ষের আশেপাশে। প্রতীকী ছবি।

এত দিন যত দোষ চাপানো হচ্ছিল স্কুলছুট নামক নন্দ ঘোষের ঘাড়ে। এ বার তার দোসর জুটেছে বয়স-বিধি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই কম হতে চলেছে। এবং সেই ভাবেই পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে পর্ষদের ব্যাখ্যা, স্কুলছুটের সমস্যায় এই পরীক্ষার্থী-ঘাটতি নয়। এর মূলে আছে ‘রাইট-টু-এডুকেশন অ্যাক্ট’ বা শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী কমবেশি দশ বছর আগেকার বয়স-বিধি। সেই নিয়মের ফেরেই সামনের বছর কম হবে পরীক্ষার্থী।

পর্ষদকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে ছ’বছরের কম বয়সি শিশুদের প্রথম শ্রেণিতে এবং দশ বছরের নীচে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে না। স্কুলে এই নিয়ম চালু হয়েছিল ২০১৩ সালে। সে-বার যারা প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল, এ বার তাদেরই মাধ্যমিক দেওয়ার কথা।

পর্ষদকর্তাদের বক্তব্য, নিয়মের ফেরে অনেক ছেলেমেয়ে ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে না-পারায় পড়ুয়ার সংখ্যা কমে গিয়েছে। কতটা কমেছে? এক পর্ষদকর্তা বলেন, “স্কুলগুলো এনরোলমেন্ট ফর্ম পূরণ করে পাঠালে বোঝা যাবে, এ বার ঠিক কত পড়ুয়া মাধ্যমিক দেবে।”

বিভিন্ন স্কুলও জানাচ্ছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই কম। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, “আমাদের স্কুলে গত বার ২২০ জন মাধ্যমিক দিয়েছিল। এ বার দিচ্ছে ১২৩ জন।” হাওড়ার ডোমজুড়ের কেশবপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাস পরীক্ষার্থী-হ্রাসের কারণে বয়স-বিধি এবং স্কুলছুট, দু’টির কথাই জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘বয়স সংক্রান্ত নিয়মের জন্য স্কুলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তো কমেছেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কোভিডে স্কুলছুটের সংখ্যা বৃদ্ধি।”

গত বার রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল সাড়ে দশ লক্ষের আশেপাশে। এক পর্ষদকর্তা বলেন, “গত বারেও মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে কোভিড নিয়ে একটা দোলাচল ছিল। পরীক্ষার সময় কোভিডের প্রকোপ বাড়লে কী হতে পারে, সেটা অনুমান করে প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছিল। পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মানার তাগিদে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও ছিল অনেক বেশি। এ বার এখনও পর্যন্ত কোভিড নিয়ে কোনও আশঙ্কা নেই। ফলে দূরত্ব-বিধি মেনে পরীক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা না-করলেও চলবে। তার উপরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও অনেকটা কমবে।’’

Madhyamik examination Students
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy