Advertisement
E-Paper

বিজ্ঞান ও অঙ্ক শিক্ষক কম জঙ্গলমহলে, উদ্বিগ্ন কমিটি

জঙ্গলমহলের দু’জেলার স্কুলশিক্ষার অবস্থা দেখে ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কমিটির পর্যবেক্ষণে যা ধরা পড়েছে, তা ভাল নয়।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৩
Share
Save

বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষকের অভাব। জঙ্গলমহলের দু’জেলার স্কুলের এই তথ্যই উঠে এসেছে রাজ্য বিধানসভার সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টে। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া পরিদর্শন সেরে চলতি অধিবেশন কমিটি এই অবস্থা কাটাতে এক গুচ্ছ সুপারিশও করেছে।

জঙ্গলমহলের দু’জেলার স্কুলশিক্ষার অবস্থা দেখে ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কমিটির পর্যবেক্ষণে যা ধরা পড়েছে, তা ভাল নয়। রাজ্যের পিছিয়ে থাকা অংশ হিসেবে চিহ্নিত ওই দু’জেলার রিপোর্টে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুলের প্রায় সব স্তরেই শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব স্পষ্ট। কমিটি দেখেছে, বিজ্ঞান পড়তে আগ্রহ থাকলেও বিভাগীয় শিক্ষক না-থাকায় পড়ুয়ারা সেই সুযোগ পাচ্ছে না। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে বিজ্ঞান পড়তে পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে যেতে হচ্ছে। মাধ্যমিক-উত্তীর্ণ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে নিজের স্কুল ছেড়ে যেতে হচ্ছে। এই শূন্য পদ অবিলম্বে পূরণ করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

গত কয়েক বছরে দুর্নীতি এবং সেই সূত্রে উদ্ভূত আইনি পরিস্থিতির কারণে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জটিল হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষকের অভাব নিয়ে কমিটি বাড়তি উদ্বিগ্ন। আনুপাতিক হার অনেক জায়গায় ঠিক থাকলেও বেশ কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষকের অভাব মেটাতে নিয়োগ ছাড়া কোনও উপায় দেখছে না কমিটি। এই পর্যালোচনায় শিক্ষা দফতরের জেলা স্তরে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি কমিটির সদস্যেরা বেশ কিছু বিদ্যালয় ঘুরে দেখেছেন। কমিটি দেখেছে, পড়ুয়াদের ‘কন্যাশ্রী’, বইপত্র, পোশাক, জুতো, স্কুলব্যাগ দেওয়া হলেও ক্লাসঘরের সমস্যা আছে। রিপোর্টে এই এলাকার স্কুলের ব্যবস্থা বোঝাতে পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার একাধিক বিদ্যালয়ের অবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিটির চেয়ারম্যান, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। ঘাটতি নজরে আনা হয়। তার পরে তা মেটানো হয়। আবার নতুন করে প্রয়োজন তৈরি হয়। তবে নিয়োগের বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে শুরু হওয়া উচিত।’’

রাজনৈতিক মঞ্চে অভাব-অভিযোগ খণ্ডন করতে শাসক তৃণমূল বলে থাকে, ‘জঙ্গলমহল হাসছে’। কিন্তু এই অঞ্চলে স্কুল স্তরের শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষ স্পষ্ট। রাজ্য সরকারের বদলি-নীতির ফলে তৈরি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার এই অভাবই ভাবাচ্ছে কমিটিকে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে নিয়োগ ছাড়া শিক্ষকের ঘাটতি মেটানো অসম্ভব। এই অবস্থা চলতে থাকলে উচ্চ মাধ্যমিকে ‘ড্রপ আউট’ সমস্যা থাকবে বলেও মনে করছেন কমিটির সদস্যেরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Teachers Jungle Mahals Maths Science

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}