—প্রতীকী চিত্র।
বিদেশের একটি জাহাজ আটকাতে রবিবার রাতেই তড়িঘড়ি বসল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য সরবরাহের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয় একটি সংস্থা। তাদের বক্তব্য, ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য সরবরাহ করে ভারত ছেড়ে পানামার উদ্দেশে চলে যাচ্ছে জাহাজটি। ওই জাহাজ না আটকালে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হবে। পেপার সংস্থার ওই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য রাত ৯টা নাগাদ কোর্ট বসান বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। ওই জাহাজ আটকে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া পানামা থেকে আগত ওই জাহাজ রওনা হতে পারবে না। আগামী ৮ অগস্ট পর্যন্ত সেটি হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সেই থাকবে। তবে ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষ হাই কোর্টের কাছে সাত কোটি টাকা জমা রেখে ওই জাহাজ নিয়ে যেতে পারেন। আগামী ১২ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পেপার সংস্থার দাবি, গত ২৫ জুলাই ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজটি হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে আসে। জাহাজে ছিল ৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। পণ্যের মূল্য ছিল ৫৪ লক্ষ ২২ হাজার ৩৫৬ ডলার। জাহাজে থাকা পণ্যের মধ্যে ১ হাজার ৩১২ মেট্রিক টন ক্ষতিগ্রস্ত। যার ভারতীয় মূল্য ৭ কোটি ৪৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৮০ টাকা। আইন অনুযায়ী, জাহাজে থাকা পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় জাহাজ কর্তৃপক্ষের। আগামী ৫ অগস্ট সকাল ৭টা নাগাদ হলদিয়া থেকে জাহাজটির ছেড়ে যাওয়ার কথা। তার আগে পেপার সংস্থাটি জাহাজের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে। রবিবার ছুটির দিনে রাত ৯টা নাগাদ আচমকা কোর্টে বসে। আগামী ৮ অগস্ট পর্যন্ত জাহাজটি হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সেই থাকবে। পাশাপাশি পেপার সংস্থার দাবি, মামলার খরচও মেটাতে হবে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে। বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, এই মামলার অর্ডারকপি পাঠাতে হবে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে, কাস্টম কর্তৃপক্ষকে এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে। আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে পেপার সংস্থাকে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের দায় জাহাজ কর্তৃপক্ষের। না হলে জাহাজকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে, ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষ যদি হাই কোর্টকে সাত কোটি টাকা জরিমানা দিতে পারেন, তা হলে ওই জাহাজ নিয়ে যেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy