সময় পেরিয়ে গেলেও ভোট আধিকারিক নিয়োগ সংক্রান্ত পদক্ষেপের রিপোর্ট জমা পড়ল না জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। তাদের বার্তা মানতে হলে ২৯ অগস্টই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এইআরও)- এর ফাঁকা পদগুলি পূরণ করে তার রিপোর্ট পাঠাতে হত নবান্নকে। তবে জেলায় জেলায় এই কাজ প্রায় শেষ বলেই সূত্রের দাবি। বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হলে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ শুরু হওয়া সম্ভব নয়।
কমিশনের বার্তা পেয়ে গত ২৭ অগস্ট জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠক করে ইআরও এবং এইআরও নিয়োগে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বলে দেওয়া হয়েছিল, ইআরও পদে যেখানে যেখানে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার আধিকারিকেরা রয়েছেন, সেখানে তা বদল করতে হবে। কোথাও ওই পদে এসডিও পদমর্যাদার অফিসার পাওয়া না গেলে সিনিয়র ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের ইআরও-র দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। সমান্তরালে ফাঁকা থাকা ৬১০টি এইআরও পদও পূরণ করতে হবে দ্রুত। এই কাজ শেষ করে ২৯ অগস্ট রিপোর্ট পাঠানোর কথা ছিল। সেটাও এখনও হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। যদিও আধিকারিকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই ধরনের পদে নতুন নিয়োগের মতো প্রক্রিয়া চালাতে হয় না। বরং কর্মরত অফিসারদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয় এ কাজে উপযুক্ত ব্যক্তিদের। তাতে এত সময় লাগার কথা নয় বলেই দাবি তাঁদের।
প্রসঙ্গত, প্রায় নিয়মিতই প্রাক এসআইআরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছে দিল্লির নির্বাচন সদন। আগামী দিনে কত ছুটি রয়েছে রাজ্যে, সেই তালিকাও তারা চেয়েছে। এ মাসে দুর্গোৎসব উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটি রয়েছে সরকারি কর্মচারীদের। অক্টোবরেও কালী পুজো-সহ বেশ কিছু দিন ছুটি রয়েছে। সাধারণত, ছুটির দিন বাদ দিয়ে এসআইআর হওয়ার কথা। প্রস্তুতি শেষ না হলে এসআইআর দ্রুত শুরু করা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)