তড়িঘড়ি সংস্কার করা হয়েছে বাহালনগরের রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
কাশ্মীরে পাঁচ জন শ্রমিক খুন হওয়ার পরে আটপৌরে প্রান্তিক গ্রামটি রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। সাগরদিঘির যে বাহালনগর গ্রামে ভোট ছাড়া সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়ক তো দূরের কথা, নেতাদেরও সে ভাবে পা পড়ে না, শনিবার সকাল থেকে সেই গ্রামে ধুলো উড়িয়ে ঢুকছে একের পর এক ‘ভিআইপি’ গাড়ি।
বৃহস্পতিবার যে নেতা-মন্ত্রীরা আসবেন তা আগেই জেনে গিয়েছিলেন বাহালনগরের লোকজন। বুধবার রাতেই বেহাল রাস্তার পাশে পড়তে শুরু করেছিল ইট, পাথর। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল, রাতারাতি মসৃণ হয়ে উঠেছে রাস্তা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দু’বছর ধরে এই রাস্তার দাবি উপেক্ষিতই থেকেছে। বুধবারেও গ্রামের রাস্তা পেরোতে হয়েছে জমা জল ও কাদা ডিঙিয়ে। কাশ্মীরে পাঁচ জন শ্রমিক খুনের পরে বাহালনগরে গিয়েছেন জেলার শাসক ও বিরোধী দলের বহু নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ। বহু মানুষ ছুটে গিয়েছেন নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে। বেহাল সেই রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে হয়রান হতে হয়েছে সবাইকেই।
গ্রামের প্রবীণ আসগর আলি বলছেন, “এখন তো বৃষ্টি নেই। তাতেও রাস্তায় জল জমে ছিল। পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধানকে যে কত বার রাস্তা ঠিক করার কথা বলেছি তার ইয়ত্তা নেই। কেউ কথা শোনেনি। অথচ এক রাতেই রাস্তার হাল ফিরে গেল! ইচ্ছে থাকলে সবই হয়।”
গ্রামের আর এক বাসিন্দা মনসুর আলি বলছেন, “যাক ভিআইপিদের আনাগোনায় রাস্তাটা আপাতত চলার মতো হল। কিন্তু কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তা এখনও বেহাল। সেখান দিয়েই দেহ নিয়ে যেতে খুব কষ্ট হয়েছে। এত দিন তো কেউ কথা শুনল না। এ বার যদি শোনে! ”
বোখারা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবণী দাস জানান, বাহালনগরের রাস্তাটি খারাপ। পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি রাস্তার জন্য এক কোটি টাকার টেন্ডারও হয়েছে। কিন্তু কাজ হতে দেরি হবে। তাই বিডিও-র নির্দেশে আপাতত পাথর ফেলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy