Advertisement
E-Paper

স্বয়ংক্রিয় পুর-মিউটেশন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য, সব পুরসভা এলাকায় দ্রুত পরিষেবা শুরুই লক্ষ্য পুর নগরোন্নয়ন দফতরের

সম্পত্তি কেনার পর রেজিস্ট্রেশনের সময়েই স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংশ্লিষ্ট পুরসভার নথিতে নতুন মালিকের নাম নথিভুক্ত হয়ে যাবে। এই পরিষেবা চালু হলে জমি বা বাড়ির ক্রেতাদের আর অতিরিক্ত ঝক্কি পোহাতে হবে না। বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর পুর-মিউটেশনের জন্য আলাদা আবেদন করতে হয় সংশ্লিষ্ট পুরসভায়।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৪৭
firhad hakim

ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

জমি ও বাড়ি কেনাবেচার ক্ষেত্রে মিউটেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। এ বার থেকে আলাদা করে আবেদন না-করেই হবে পুর-মিউটেশন। সম্প্রতি নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, অর্থ দফতরের ডিরেক্টরেট অফ রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রাজ্যের সব পুরসভা। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা ও নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনকেডিএ) পোর্টাল রেজিস্ট্রেশন ডিরেক্টরেটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও নির্ভুল ভাবে করা সম্ভব হবে।

সম্পত্তি কেনার পর রেজিস্ট্রেশনের সময়েই স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংশ্লিষ্ট পুরসভার নথিতে নতুন মালিকের নাম নথিভুক্ত হয়ে যাবে। এই পরিষেবা চালু হলে জমি বা বাড়ির ক্রেতাদের আর অতিরিক্ত ঝক্কি পোহাতে হবে না। বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর পুর-মিউটেশনের জন্য আলাদা আবেদন করতে হয় সংশ্লিষ্ট পুরসভায়। আবেদনকারীর কাছ থেকে দলিল, আগের কোয়ার্টারের সম্পত্তিকরের রসিদ, পরিচয়পত্র-সহ একাধিক নথি জমা নিতে হয়। যদিও এখন এই প্রক্রিয়াও অনলাইনে করা যায়। কিন্তু অনেকেই পৃথক আবেদন এড়িয়ে যান। ফলে পুরসভার তথ্যভান্ডারে পুরনো মালিকের নাম থেকে যায়। এতে রাজস্ব ক্ষতি হয় পুরসভার, এবং পরবর্তী মালিককে বকেয়া সম্পত্তিকরের দায় নিতে হয়।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত দু’বছরে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে অনলাইনে ৩ লক্ষ ৫২, ৬৩৫টি পুর-মিউটেশন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তাদের মতে, এই সংখ্যা আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল। তাই এ বার স্বয়ংক্রিয় মিউটেশন ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভূমি দফতরের আওতায় জমি রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় নাম পরিবর্তনের ব্যবস্থা আগেই চালু হয়েছে। এ বার পুর-মিউটেশনেও সেই সুবিধা এলে সম্পত্তি ক্রেতাদের হয়রানি কমবে এবং পুরসভার রাজস্ব আদায়ও হবে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘জমির মিউটেশন করানোকে অনেকেই সমস্যার বলে মনে করেন। কিন্তু আমরা যে নতুন পদ্ধতি চালু করতে চলেছি, তা কার্যকর হয়ে গেলে মিউটেশন প্রক্রিয়া খুব সুহজ হয়ে যাবে। এতে প্রশাসনিক ভাবেও আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।’’

KMC TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy