Advertisement
০১ মে ২০২৪
Power Department

সিইএসসির জন্য ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে রাজ্যের, মন্ত্রী অরূপের ভর্ৎসনার মুখে বিদ্যুৎ সংস্থা

গত প্রায় পনেরো দিন ধরে শহর কলকাতা-সহ বিস্তীর্ণ জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছে বণ্টন সংস্থা। অভিযোগ জমা পড়তে থাকে বিদ্যুৎ দফতরে।

Image of CESC Meeting with Arup Biswas.

সিইএসসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ২০:৫১
Share: Save:

রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন সিইএসসির শীর্ষ কর্তারা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরেই সোমবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে সিইএসসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সিইএসসির আওতায় থাকা শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ জানতে চান মন্ত্রী। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেও সংস্থার আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন অরূপ।

মূলত কলকাতা, হাওড়া, শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, দমদম-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ‘‘আপনাদের (সিইএসসি) জন্য রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে।’’ সেখানে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘এর পর আর যেন কোনও অভিযোগ আমার কাছে বা আমাদের দফতরে না আসে। সে জন্য সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে টেকনিক্যাল টিম ও ম্যান পাওয়ার বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

গত প্রায় পনেরো দিন ধরে শহর কলকাতা-সহ বিস্তীর্ণ জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছে বণ্টন সংস্থা। অভিযোগ জমা পড়তে থাকে বিদ্যুৎ দফতরে। তার পরেই সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দু’বার সিইএসসি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন মন্ত্রী অরূপ। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলেই অভিযোগ। যে কারণে বিদ্যুৎ দফতরে ডেকে পাঠিয়ে সিইএসসির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য সরকারের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।

যদিও সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি ছিল না। এ বছর ১৬ জুন বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২,৬০৬ মেগাওয়াট। সেই চাহিদা মেটানো হয়েছে। গত বছর এক দিনে বিদ্যুৎ জোগানের চাহিদা ছিল ২,৩৬৫ মেগাওয়াট। কিন্তু বেশ কিছু এলাকায় ‘লোড’ অতিরিক্ত হওয়াতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে বিদ্যুতের সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CESC West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE