লোকসভা ভোটের আগে কলকাতার বাছাই করা পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা ভোটের আগে কলকাতার বাছাই করা পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। রবিবার আলিপুরের বর্ধমান রাজবাড়ির প্রেক্ষাগৃহে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘দুর্গোৎসব সম্মান ১৪৩০’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় পুজো কমিটিগুলিকে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের স্মারকের পাশাপাশি, এক লক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে। সেই তালিকায় রয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোও। যারা গত বছর রামমন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়েছিল। তাদের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করতে কলকাতায় এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, লোকসভা ভোটের আগে ক্লাব সংগঠনগুলির সমর্থন পেতেই এই পুরস্কার দেওয়া হল।
অনুদানপ্রাপ্ত পুজো কমিটিগুলির মধ্যে রয়েছে কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক। সবে মিলিয়ে ৩৫টি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ লোকসভা ভোটের আগে এই ভাবে অর্থ দিয়ে ক্লাব সংগঠনগুলিতে নিজেদের প্রাধান্য কায়েম করতে চাইছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর দুর্গাপুজোর সময় তারা একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল, সেই প্রতিযোগিতায় জয়ী পুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে রবিবার। এই পুরস্কার প্রদানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।
গত বছর শারদোৎসবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার রামমন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ গড়ে চমক দিয়েছিল। সেই পুজো কমিটিকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে। সেই পুজো কমিটির কর্তা তথা ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘‘এই পুরস্কার বা অর্থ পাওয়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেনি। এটা কাকতলীয় যে আমি এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত আর সেই পুজোটিকেই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক পুরস্কৃত করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কলকাতার আরও ৩৪টি পুজো কমিটিতেও পুরস্কৃত করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও বিজেপি নেতা সেই সব পুজোর সঙ্গে যুক্ত নন। বরং এমন অনেক পুজোই খুঁজে পাবেন, যেখানে তৃণমূল নেতারা সরাসরি পুজোর সঙ্গে যুক্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy