দুই ভোটার তালিকায় থাকা ভোটারদের মেলানোর (ম্যাপিং) কাজ চলছে পুরোদমে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এর পরেই ভোটার তালিকায় আসন্ন বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজে মূল আবেদনপত্রটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ছাপার কাজ শুরু হবে। একজন ভোটারের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে একটি আবেদনপত্র। তা পূরণ করে বুথ লেভেল আধিকারিকদের (বিএলও) কাছে দিতে হবে। বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, নামে-নামে আবেদনপত্র তৈরি হওয়ার কারণে যোগ্য-অযোগ্য সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। বিহারের এসআইআর-এও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে হয়েছিল।
কমিশন-কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, চলতি বছরের তালিকা ধরেই ভোটারের নাম, ঠিকানা, ভোটার কার্ড নম্বর এবং ছবি দিয়েই এক-একটি আবেদনপত্র তৈরি হবে। বিএলও-রা সেই আবেদনপত্র তাঁদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে দেবেন। নাম, ঠিকানা এবং ভোটার কার্ড নম্বর ছাপানো থাকার কারণে সবকিছুরই প্রাথমিক যাচাই হয়ে যাবে। ফলে সংশ্লিষ্টদের নতুন তালিকাভুক্ত হতে সমস্যা থাকবে না।
২০০২ সালে যে এসআইআর হয়েছিল, তার সঙ্গে চলতি বছরের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। তাতে উভয় তালিকায় কতগুলি নামে মিল থাকছে, তা দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ২০০২ সালের তালিকায় নাম থাকা কোনও ভোটারের মৃত্যু ইতিমধ্যে হয়ে থাকলে এবং সেই ঘটনা কমিশনের কাছে নথিবদ্ধ না-থাকলে আবেদনপত্র সেই নামে যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই তা ফেরত আসবে না কমিশনের কাছে। এ ভাবেই মৃত ব্যক্তিদেরও আলাদা করে ফেলা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন কমিশন-কর্তারা। বলা হয়েছে, কোনও ভোটারের নাম যদি ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায় না থাকে, তবে ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকাও দেখা হবে। সেখানেও নাম পাওয়া না গেলে সেই ভোটারের পিতা-মাতার নাম সেই তালিকায় আছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। নাম থাকলে বিধানসভা কেন্দ্র, পার্ট নম্বর এবং সিরিয়াল নম্বর নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সন্তান হিসেবে সেই ভোটারের নতুন করে বৈধতা প্রমাণ করার প্রয়োজন থাকবে না। নাম অনুসারে যাওয়া আবেদনপত্র এই বিষয়টিও চিহ্নিত করতেসাহায্য করবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)