বুধবার নিজাম প্যালেসে ডেকে প্রায় তিন ঘণ্টা তাপস এবং কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ফাইল চিত্র।
বুধবার বেলার দিকে নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য-‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। সেখানে তাঁকে প্রাথমিকে ‘নিয়োগ-দুর্নীতি’ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদের পর তাপস দাবি করেন, বহু ছাত্রছাত্রীর থেকে জানতে পেরেছি, ওঁরা তৃণমূল নেতাকে টাকা দিয়েছেন। সেটার একটি হিসাব আমি সিবিআইকে দিয়েছিলাম। আজ কিছু নথি দিয়ে এলাম। সব মিলিয়ে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তাপসের সেই দাবির বিরুদ্ধেই এ বার মুখ খুললেন হুগলির ওই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তাপসের দাবির যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তিনি।
এ বিষয়ে আনন্দবাজার অনলাইন তাঁর কাছে জানতে চাইলে কুন্তল জানান, বিষয়টি যে হেতু এখনও বিচারাধীন এবং সিবিআই এর তদন্ত করছে তাই এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। কোনও মন্তব্য করলে তা আইনের চোখে ভাল দেখাবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি কোনও ব্যক্তি সিবিআইয়ের সামনে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে থাকেন, তা হলে তাঁকে গোয়েন্দারা এত সহজেই ছেড়ে দেবে? তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইতমধ্যেই ইডি চার্জশিট দিয়েছে। যদিও তাপস ইডি-র কাছে দাবি করেন নিজে এক টাকাও নেননি। সব টাকা তিনি মানিকের হাতে তুলে দিয়েছেন। কুন্তলের দাবি, “আমরা সকলেই জানি, ইডি তাদের তদন্ত রিপোর্টে কী দাবি করেছে। কী ভাবে তাপস মণ্ডল সক্রিয়ভাবে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি ষড়যন্ত্রকে কেলেঙ্কারির রূপ দিয়েছেন। এমনকি, ইডি আদালতেও জানিয়েছে যে, তাপস মণ্ডলকে ছাড়া একা মানিক ভট্টাচার্যের পক্ষে এ রকম কেলেঙ্কারি করা এক প্রকার অসম্ভব। সেই ব্যক্তি দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।”
বুধবার নিজাম প্যালেসে ডেকে তাপস এবং কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাইরে বেরিয়ে তাপস দাবি করেন, শাসকদলের ওই যুব নেতা কুন্তলের কথা আগেই নাকি সিবিআইকে বলেছিলেন তিনি। বুধবার তাপস দাবি করেন, ওঁনার পরিচিতরা যে টাকা দিয়েছেন তার কিছু নথি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারিও তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে অবশ্য তাঁকে একাধিক বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ইডি-র চার্জশিটে তাপস অভিযুক্ত। প্রথম থেকেই তাঁর দাবি, ডিইএলএড কোর্সে পড়ুয়াদের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য প্রায় ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মানিককেও জড়িয়েছিলেন তিনি। বুধবার সেই তাপস বলেন, ‘‘ইডির কাছে যা বলেছি, সিবিআইকেও সেটাই বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy