কৈলাস বিজয়বর্গীয়।ফাইল চিত্র।
সাম্প্রতিক কয়েকটি ভোটের ফলে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেই এত দিন উল্লসিত ছিল রাজ্য বিজেপি। সেই উল্লাসের যৌক্তিকতা নিয়েই মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে প্রশ্ন তুলে দিলেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপি সূত্রের খবর, আসানসোলে এ দিনের বৈঠকে তিনি বলেন, রাজ্যে দ্বিতীয় হওয়ায় আনন্দের কিছু নেই। কারণ, তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের বিপুল ব্যবধান রয়েছে। যে ভাবে সংগঠন চলছে, তাতে ওই ব্যবধান ঘোচানো প্রায় অসম্ভব। অতএব, আগামী কয়েক মাস শুধু মন দিয়ে সংগঠন করতে হবে। অন্য কিছুতে ব্যস্ত হওয়া যাবে না।
বিজেপির একাংশের মতে, কৈলাসও বুঝেছেন, দলের সংগঠনের হাল গর্ব করার মতো নয়। লোকসভা ভোটের আগে হাল ফেরাতে না পারলে ২২ আসনের লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও পৌঁছনো কঠিন।
বিজেপির ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরনো নিষ্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করার অভিযানে নামা হবে। গত ২৭ জুন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে রাজ্য নেতাদের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের রথ বার করা হবে। এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, গঙ্গাসাগর, কোচবিহার ও তারাপীঠ থেকে তিনটি রথ রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার চালাবে। রথ বেরনোর আগে পুলিশের অনুমতি চাওয়া হবে। তা না মিললে মানুষের সমর্থন নিয়ে রথ চলবে।
পঞ্চায়েত ভোটে ৩৪% আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের জয়ের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। দিলীপবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ফের ভোট হওয়ার পরিস্থিতি এলে দাঁড়িয়ে দেখব না। অর্জুনের মতো গাণ্ডীব হাতে নামব। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy