এক মেয়েকে রাস্তায় টিটকিরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এর জন্য রাস্তায় তাকে মারধরও করা হয়েছিল। অপমানে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেছিল সেই কিশোর। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সেই ঘটনায় ‘টিটকিরি’র অভিযোগ তোলা সেই কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কিশোরের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন সাতেক আগে সুরাবনী গ্রামের বাসিন্দা সূর্য মান্না তার চার জন বন্ধুর সঙ্গে আর এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল পড়ার বই আনতে। অভিযোগ, রাস্তায় এক কিশোরীকে লক্ষ্য করে টিটকিরি দিয়েছে তারা। এর পরেই ওই নাবালিকার বাবা-সহ কয়েক জন সূর্যকে আটকে রেখে মারধর করেন। দাবি, সেখান থেকে বাড়ি ফিরেই দোতালার ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সূর্য (১৩)। একটি সুইসাইড নোটও লিখে যায় সে। তাতে সে লিখেছে, মেয়েটিকে সে কোনও ভাবে টিটকারি দেয়নি। তাকে সে চেনেও না। বিনা কারণে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে হেনস্থা করা হয়েছে।
এর পর গত ২৯ জুলাই মৃত ছাত্রের বাবা রবীন্দ্রনাথ মান্না কাঁথি থানায় অভিযোগকারিণী সেই কিশোরীর বাবা-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, অন্যতম অভিযুক্ত লালু শ্যামল এখনও পলাতক। বাড়িতে পুলিশ আসার খবর পেয়ে তিনি বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাঁথি আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।