প্রতীকী ছবি।
সাঁতার জানত না কেউই। মজার ছলে দিঘিতে স্নান করতে নেমেছিল তিন বালক। জলে ডুবে মৃত্যু হল তিনজনেরই। সোমবার দুপুরে হুগলির উত্তরপাড়ার মাখলার একটি ইটভাটা লাগোয়া দিঘির এই দুর্ঘটনায় মৃতদের নাম অঙ্কিত কুমার (১৩), আশিস সাউ (১২) এবং তার আত্মীয় আদিত্যসাউ (১১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমের দুপুরে প্রায়ই এলাকার পুকুরে দাপাদাপি করত ওই বালকরা। সোমবার তারা গিয়েছিল মাখলা সেবাসদন হাসপাতাল লাগোয়া ওই দিঘিতে। বিঘা দু’য়েকের ওই দিঘি বেশ গভীর। সেখানে সচরাচর কেউ স্নান করতে নামেন না। এ দিন ওই তিন বালকের সঙ্গী হয়েছিল বছর আটেকের এক খুদে। সাঁতার না জানলেও দিঘিতে ঝাঁপ দেয় অঙ্কিত, আশিস আর আদিত্য। তবে ভয়ে জলে নামেনি তাদের সেই সঙ্গী। পাড়ে বসে দেখছিল সে।
তার কথায়, ‘‘প্রথমে তলিয়ে গিয়েছিল আশিস। তাকে টেনে তুলতে গিয়ে তলিয়ে যায় অঙ্কিত আর আদিত্য।’’ সেই খুদেই এলাকায় গিয়ে পুরো বিষয়টি জানায়। ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দা ও ওই বালকদের পরিজনরা। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে দিঘি থেকে তিন বালকের দেহ উত্তরপাড়া হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার চিকিৎসক জানান, মারা গিয়েছে তিন জনই।
মাখলার প্রহ্লাদ সিংহ হাইস্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল আদিত্য ও আশিস। পরিবারের দুই সন্তানকে হারিয়ে পরিজনরা শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল অঙ্কিত। তার বাবা হরিশ কুমার বলেন, ‘‘ছেলে বহুবার সাঁতার শিখতে চেয়েছিল। সময়ের জন্য পারিনি। পুকুরে নামতে বারণ করতাম। শুনলে এমন হত না।’’
চন্দননগর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছিল ওই বালকদের। দেহগুলি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy