Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

তিন মাস পরে চালু পাহাড়ের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র

জুন মাসে পাহাড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়তেই গোর্খাল্যান্ড সমর্থকদের চাপে ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৩
Share: Save:

পাহাড়ে বন্‌ধ উঠতেই, চালু হল রাজ্যের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর পুজোর পরে রাম্মাম ও জলঢাকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা গিয়েছে।

জুন মাসে পাহাড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়তেই গোর্খাল্যান্ড সমর্থকদের চাপে ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। ভরা বর্ষায় যখন পাহাড় থেকে সস্তার জলবিদ্যুৎ পাওয়ার কথা, সেই সময় অশান্তির আশঙ্কায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখার ঝুঁকি নেয়নি বণ্টন কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের গ্রিডে নিজের জলবিদ্যুৎ না ঢোকায় মোটা টাকা লোকসানও হয় সংস্থার।

রাজ্যের এক বিদ্যুৎ কর্তা জানাচ্ছেন, জুনের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ে বন্‌ধ শুরু হওয়ার পরেও কিছু দিন রাম্মাম ও জলঢাকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু ছিল। কিন্তু পরে অশান্তি আরও ছড়িয়ে পড়তে ২৫ জুন রাম্মাম ও ৭ জুলাই জলঢাকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়। তার জেরে বণ্টন সংস্থার দিনে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ওই কর্তার দাবি। যদিও বণ্টন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট কত লোকসান হয়েছে, তার হিসেব শুরু হয়েছে। এক কর্তা বলেন, ‘‘রাম্মাম ও জলঢাকার ইউনিটগুলি বন্ধ থাকার কারণে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটিও দেখা দিয়েছে। ফলে সব ক’টি ইউনিট চালানো যাচ্ছে না। যেগুলি খারাপ হয়েছে, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে।’’

ভরা বর্ষায় পাহাড় থেকে রাজ্য প্রায় ১০০ মেগাওয়াটের মতো জলবিদ্যুৎ পায়। যার মধ্যে রাম্মামের উৎপাদন ক্ষমতা ৫১ মেগাওয়াট ও জলঢাকার ৪৪ মেগাওয়াট। এ ছা়ড়া একটি বেসরকারি সংস্থাও দিনে তিন মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যা রাজ্য কিনে নেয়। অশান্তির সময় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জলবিদ্যুৎ এখন রাজ্যের গ্রিডে খুবই জরুরি। কারণ সারা দেশেই এখন কয়লা সঙ্কট চলছে। পাহাড়ে বন্‌ধের সময়ও রাজ্যে কয়লা জোগানের সমস্যা ছিল।

বন্ধ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনএইচপিসি-র তিস্তা লোয়ার ড্যাম তিন ও চার নম্বর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ১৩২ মেগাওয়াটের রাম্বি ও ১৬০ মেগাওয়াটের কালিঝোর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র মোর্চার সমর্থকদের চাপে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সংস্থাটি তাদের ওই দু’টি ইউনিট ফের চালু করতে পেরেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE