Advertisement
E-Paper

বন্ধুকে বাঁচাতে দামোদরে ঝাঁপ, মৃত্যু ৩ জনেরই

সুপ্রতিম বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বাসিন্দা। বাকিদের বাড়ি দুর্গাপুরের ডিপিএল কলোনি ও রায়ডাঙায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, কেউ গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার জন্য, কেউ ক্রিকেট খেলতে যাবে বলে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ০৪:৩৩
দুর্ঘটনা: মৃত শুভজিৎ শূর, সুপ্রতিম গোস্বামী এবং শুভজিৎ বাউরি।

দুর্ঘটনা: মৃত শুভজিৎ শূর, সুপ্রতিম গোস্বামী এবং শুভজিৎ বাউরি।

গরমের সন্ধ্যায় দামোদরের পাড়ে বেড়াতে গিয়েছিল ছ’বন্ধু। তাদের এক জন স্নান করতে জলে নামে। দুর্গাপুর ব্যারাজে লকগেটের কাছে তাকে হাবুডুবু খেতে দেখে বাঁচাতে যায় দুই বন্ধু। রবিবার সন্ধ্যায় তলিয়ে যায় তিন জন। সোমবার মিলল তিনটি দেহ।

ছ’বন্ধুর মধ্যে পাঁচ জন দুর্গাপুরের নানা স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। এক জন দশম শ্রেণির ছাত্র। সশস্ত্র পুলিশের উদ্ধারকারী দল দামোদরে তল্লাশি চালিয়ে সোমবার সকালে সুপ্রতিম গোস্বামী (১৭) ও শুভজিৎ বাউরির (১৭) দেহ উদ্ধার করে। বিকেলে মেলে শুভজিৎ শূরের (১৭) দেহ। তিন জনই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া।

সুপ্রতিম বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বাসিন্দা। বাকিদের বাড়ি দুর্গাপুরের ডিপিএল কলোনি ও রায়ডাঙায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, কেউ গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার জন্য, কেউ ক্রিকেট খেলতে যাবে বলে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুপ্রতিম স্নান করতে দামোদরে নেমে তলিয়ে যেতে থাকে। তখন অন্য দু’জন তাকে বাঁচাতে যায়। শুভজিৎ শূরের মামাতো ভাই, দশম শ্রেণির ছাত্র সাগর বারুই ছিল ওই কিশোরদের দলে। এ দিন সে বলে, ‘‘তিন জনকেই ডুবে যেতে দেখে আমরা পাগলের মতো চেঁচামেচি শুরু করি। মাঝিরা ছুটে আসেন। কিন্তু ওদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।’’

এ দিন ব্যারাজ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পাহাড়পুর পাম্প স্টেশনের কাছে তিনটি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের কেউই সাঁতার জানত না। তাদের ধারণা, জল পড়ে লকগেটের কাছে যে সব জায়গা অনেকটা গভীর হয়ে গিয়েছে, সে রকমই কোনও জায়গায় তলিয়ে যায় সুপ্রতীম ও তার বন্ধুরা।

আরও পড়ুন: গুরুঙ্গকে ভাষার গুগলি মমতার

সুপ্রতিম ও শুভজিৎ বাউরি দুর্গাপুরের বিধান ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিল। ডিপিএল কলোনির বাসিন্দা শুভজিৎ শূর পড়ত এমএমএএমসি টাউনশিপ মডার্ন হাইস্কুলে। তারা সকলেই এলাকায় ভাল ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এ দিন বহু মানুষ দামোদরের পাড়ে ভিড় জমান। তবে শুভজিৎ বাউরির পরিবারের বক্তব্য, সাঁতার না জেনেও বন্ধুকে বাঁচাতে গভীর জলে নামার ঝুঁকি তাদের ছেলে কেন নিল, তা স্পষ্ট নয়। ময়না-তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে তারা।

ব্যারাজের কাছে মানুষজন জলে নামায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক বোর্ড বসানো হয়েছে। এক সময়ে মাইক লাগিয়ে প্রচারও করা হতো। তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে অনেকে স্নান করতে নামেন। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নজরদারি চালানো হবে।’’

Accident Damodar River দামোদর দুর্ঘটনা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy