চলতি সপ্তাহে এক দিনও বিরাম দেয়নি বৃষ্টি। কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে আকাশে রোদ তেমন দেখা যায়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে যে নিম্নচাপ অঞ্চল ছিল, তা সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। সেই কারণে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে। তবে থামবে না। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে পরের সপ্তাহে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বার নিম্নচাপ অঞ্চল ঝাড়খণ্ডের উপর রয়েছে। সংলগ্ন ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিলোমিটার উঁচুতে রয়েছে। মৌসুমি অক্ষরেখা এখন সুরতগড়, ভিওয়ানি, আলিগড়, বান্দা, ডাল্টনগঞ্জ, দিঘার উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত চলে গিয়েছে। যে হেতু নিম্নচাপ অঞ্চল রাজ্য থেকে সরে গিয়েছে, তাই বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে বর্ষার বৃষ্টি চলবে। ১৩ থেকে ১৬ তারিখ উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। জেলার বেশির ভাগ এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। তবে সর্বত্র নয়। কোনও জেলায় সতর্কতা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কেবল আগামী সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে। সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সাগরে যাওয়ার বিষয়েও কোনও সতর্কতা জারি করেনি হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টি চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। রবিবার থেকে উত্তরে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ওই দিন ভারী বৃষ্টির জন্য পাঁচ জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী সোমবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। আগামী বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।