পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা সক্রিয় হয়েছে। তার উপর সাগর থেকে ঢুকছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প। রাজ্য জুড়ে আরও কিছু দিন ঝড়বৃষ্টি চলবে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ব্যাখ্যা করা হল কারণও। আগামী কয়েক দিনে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পঞ্জাব থেকে উত্তর বাংলাদেশ পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা বিস্তৃত। তা হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণাংশ, দক্ষিণ বিহার এবং গাঙ্গেয় বঙ্গের উত্তরাংশের উপর দিয়ে গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে স্থলভাগে। বাতাসের গতি অনুকূল রয়েছে। ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত দু’দিনে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রি কমে গিয়েছে। আরও নামতে পারে পারদ।
আরও পড়ুন:
সোমবার দুপুরে যে বিশেষ বুলেটিন দিয়েছে হাওয়া অফিস, তাতে বলা হয়েছে, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে সোমবারেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার গতি থাকতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাতেও। এ ছাড়া, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমবেশি ঝড়বৃষ্টি চলবে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং বর্ধমানে সতর্কতা জারি রয়েছে। বুধবার বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গে। সব জেলাতেই ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সোমবার। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরে মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে। বুধবার উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার সতর্কতা রয়েছে উত্তরের সব ক’টি জেলায়।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা প্রায় স্বাভাবিক। রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার এই তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার তাপমাত্রা সম্প্রতি ৩৯ ডিগ্রিতেও পৌঁছে গিয়েছিল। দমদম, সল্টলেক ছুঁয়েছিল ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি। আপাতত বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।