মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বঙ্গ রাজনীতিতে সভা-মিছিলের সঙ্গে ‘ডিম্ভাত’ শব্দটা মিশে গিয়েছে। তবে ‘মা-বোনেরা’ চাইলে সেই মেনুও বদল হয়।
শিবরাত্রির ঠিক আগের দিন আজ, শুক্রবার বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা। সেখানে আসা উপভোক্তাদের টিফিনে ডিম, কেক, কলা ইত্যাদি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিবরাত্রির ব্রতের জন্য মহিলা উপভোক্তাদের অনেকেই শুক্রবারও নিরামিষ খাবেন। তাই সভায় যেতে গররাজি হচ্ছিলেন তাঁরা। বিভিন্ন ব্লক থেকে সেই খবর আসতেই বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় বদলে গেল ‘মেনু’। ডিম, কেকের বদলে বরাত দেওয়া হল লুচি, বিস্কুট, প্যাটি, ঝুরিভাজার মতো নিরামিষ পদের। দুপুরের খাবারেও জেলা প্রশাসন আমিষ পদ সরিয়ে দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘শিবরাত্রি বলে শেষ মুহূর্তে উপভোক্তাদের জন্য নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।’’
শুক্রবার বাঁকুড়ার বলরামপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের পরিষেবা প্রদানের কথা। সে জন্য সারা জেলা থেকে অন্তত ৪০ হাজার উপভোক্তাকে নিয়ে আসার কথা প্রশাসনের। গাড়িতে তাঁদের আনার সময় টিফিনের ব্যবস্থা করে ব্লক প্রশাসন। আর দুপুরের খাবার দেয় জেলা প্রশাসন। মমতার সভায় সাধারণত বিভিন্ন বয়সের মহিলার ভিড় বেশিই থাকে। কিন্তু এ দিন সকালে বিডিওদের কাছে খবর আসে, শনিবার শিবরাত্রি থাকায় মহিলাদের অনেকে আমিষ খাবার খেতে হবে বলে সভায় আসতে আগ্রহী নন। শেষ মুহূর্তে তাই টিফিন বদল করলেন অনেক বিডিও।
জেলার এক বিডিও বলেন, ‘‘আমরা টিফিনে ডিম, কলা, কেক রেখেছিলাম। এই পরিস্থিতিতে ডিম, কেক বাদ দিয়ে ঝুরিভাজা, কলা, মিষ্টি দিচ্ছি।’’ আর এক বিডিও জানান, লুচি ও বাঁধাকপির তরকারি দেওয়া হবে। শেষ মুহূর্তের মেনু বদলে হিমশিম অবস্থা টিফিনের বরাত পাওয়া ক্যাটারারদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy