Advertisement
E-Paper

জনস্রোতের অপেক্ষায়

এদিন সকাল থেকেই স্টেডিয়াম ছিল তৃণমূল নেতাদের দখলে। তেমনই স্টেডিয়ামের হল, ক্যান্টিন জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার প্রতিনিধিদের রান্নার বন্দোবস্ত। মঞ্চের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৩
সভার জায়গায় পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র

সভার জায়গায় পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র

সাত সকালে পুলিশের ম্যারাথন। বেলা বাড়তেই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের ছাত্র যুব কর্মশালা। ফলে, আজ সোমবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি শহরের রাস্তায় জনস্রোত আছড়ে পড়বে। সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের নানা জেলা থেকে বাস-ছোট গাড়ি বোঝাই কর্মী-সমর্থকরা ঢুকবেন শহরে। শহরের মূল রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ না হলেও মিছিল করে সকলে স্টেডিয়ামের দিকে রওনা হবেন। বেলা ১১টা থেকেই শহর মিছিলকারীদের দখলে চলে যেতে পারে। তাই শহর ও লাগোয়া এলাকার অনেক স্কুলই এ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিনের ক্লাস আগামী শনিবার হবে অনেক স্কুলে।

বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে অনেকেই নিজের অফিস, স্কুল, বাজার যাতায়াতের রুট বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিলিগুড়ি নাগরিক সমিতির মুখপাত্র রতন বণিক বলেন, ‘‘বড় মাপের সমাবেশ হলে রাস্তায় যানজট তো একটু হতেই পারে। সেটা মাথায় রেখেই শহরবাসীকে বাইরে বেরোতে হবে।’’ যদিও তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, শহরের নানা মোড়ে স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্স সহ নানা জরুরি কাজের জন্য কোনও গাড়ি যাতে না আটকে যায় সেটা সকলকে মাথায় রাখতে হবে।’’ তিনি জানান, শহরের মধ্যে মূল রাস্তায় দলের কোনও গাড়ি রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।

এদিন সকাল থেকেই স্টেডিয়াম ছিল তৃণমূল নেতাদের দখলে। তেমনই স্টেডিয়ামের হল, ক্যান্টিন জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার প্রতিনিধিদের রান্নার বন্দোবস্ত। মঞ্চের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। নজরদারিতে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা চালু করা হয়েছে।

দুপুরের পরে পুলিশ কুকুর দিয়ে গোটা মাঠে তল্লাশি চালান অফিসারেরা। শিলিগুড়ি পুলিশ প্রতি জেলার পুলিশ সুপারকে তাঁর জেলার প্রতিনিধিদের বাস, গাড়ির রুট কী হবে তা জানিয়ে দিয়েছে। একাধিকবার স্টেডিয়ামে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী-সহ পুলিশ কর্তারা। পুলিশ কমিশনার জানান, শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য ভোর থেকেই পুলিশকর্মীরা রাস্তায় থাকবেন।

স্টেডিয়াম লাগোয়া বিধান মার্কেট, হকার্স কর্নারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতিনিধিদের মিছিল আসা-যাওয়া, লোকাল বাস, অটো, টোটো মিলিয়ে যানজট হবেই। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি ডার্বি ম্যাচে আমাদের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। এবার তো আরও বেশি লোক।’’ এ সব বুঝেই তাই আর ঝুঁকি নেনি কলেজপাড়ার বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষিকা। তিনি বললেন, ‘‘এর আগে স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে প্রায় ৩ ঘন্টায় পর বাড়ি ফিরি। তাই আগেভাগেই ছুটি নিয়ে রেখেছি।’’

দলীয় সূত্রের, খবর, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দলের কর্মশালায় কর্মী সমর্থকদের আনতে শুধু শিলিগুড়িতেই প্রায় ৩০০ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তার মধ্যে ৫০টি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাসও রয়েছে। নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ির বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সমর্থকদের আনতে তা ব্যবহার করা হবে। সকাল আটটার মধ্যে বাস নির্দিষ্ট জায়গাগুলিতে চলে যাবে। পুর এলাকার জন্য কোনও বাস দেওয়া হচ্ছে না।

TMC Students’ youth workshop Siliguri Tight security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy