শিশু পাচার-কাণ্ড ঘিরে পুরোদস্তুর স্নায়ুর লড়াইয়ে নামল তৃণমূল এবং বিজেপি! রোজভ্যালি-কাণ্ডে দুই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস পালকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বিজেপি-র দাবি, তারই প্রতিক্রিয়ায় সিআইডিকে দিয়ে সাংসদ তথা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মোর্চার আর এক নেত্রী জুহি চৌধুরীকে নিশানা করেছে তৃণমূল সরকার।
চক্রান্তের পাল্টা তত্ত্ব সামনে রাখলেও বিজেপি-র সর্বভারতীয় একটি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, শিশু পাচার নিয়ে সিআইডি নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। তাতে বিজেপি-র কারও নাম জড়ালে তাঁকে আড়াল করার প্রয়োজন নেই। বিজেপি-র একাংশের মত, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসলে তৃণমূলের সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে চাইছেন। তাঁরা মনে করছেন, শিশু পাচারে বিজেপি-র দু-এক জন চুনো-পুঁটি জালে পড়লেও পড়তে পারে। কিন্তু নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলেরও অনেক রাঘব-বোয়াল জড়িয়ে যাবে!
শিশু পাচার-কাণ্ডে ধৃত চন্দনা চক্রবর্তী এ দিন রূপা, কৈলাস এবং জুহির নাম জড়িয়ে দেওয়ার পরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক নেতারা কাউকে সাহায্য করতে কোথাও নিয়ে গিয়ে থাকলে তা অন্যায় নয়। আমাদের কোনও নেতা বা নেত্রী যদি অন্যায় সুবিধা দিয়ে বা নিয়ে থাকেন, সেটা অন্যায়।’’
দিলীপবাবুর বক্তব্য, তদন্তে কেউ অপরাধী প্রমাণিত হলে দল পাশে দাঁড়াবে না। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্ত এক জন কার নাম বলল, তার কোনও গুরুত্ব নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy