Advertisement
E-Paper

টার্গেট ২০১৯: আঙুলে-আঙুলে ধুন্ধুমার লড়াই পদ্ম আর ঘাসফুলে

সুপর্ণ মৈত্র এবং দীপ্তাংশু চৌধুরীকে মাথায় বসিয়ে নিজেদের আইটি সেলকে ঢেলে সাজিয়েছে তৃণমূল। অন্য দিকে, বাংলায় বিজেপি-র আইটি সেলের কাজ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজখবর রাখা শুরু করেছেন খোদ অমিত শাহ।

ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ১৫:০২
গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।

লড়াই ধুন্ধুমার হতে চলেছে ২০১৯-এ। ফল যা-ই হোক, প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি বিনা যুদ্ধে ছাড়তে নারাজ তৃণমূল এবং বিজেপি। যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাবটা তাই মাঠ-ময়দান, রাস্তা-ঘাটে সীমাবদ্ধ নেই আর। ঘরে ঘরে চর্চা বাড়ছে ২০১৯ নিয়ে।

ক্লাবে, চায়ের দোকানে, বন্ধুদের আড্ডায় ঝড় উঠছে। ঝড়টা উঠছে ‘হাতে-হাতে, আঙুলে-আঙুলে’। বলছেন সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা। বাংলার শাসক দল এবং ভারতের শাসক দল প্রবল বিক্রমে ঝাঁপাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার দখল নিতে। ফলে হাতে-হাতে থাকা স্মার্ট ফোনে ঢুকে গিয়েছে তৃণমূল-বিজেপির লড়াইটা। পোস্ট-পাল্টা পোস্ট ক্রমশ বাড়ছে। তাতে অংশ নিয়ে মোবাইল স্ক্রিনে ঝড় তুলছে তরুণ প্রজন্মের আঙুল। আর দুই শিবিরই চাইছে সেই ঝড়কে নিজেদের পালে টেনে নিতে।

ডিজিটাল পরিসরের লড়াইকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি এবং তৃণমূল, তা দু’দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কর্মসূচির দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে। সুপর্ণ মৈত্র এবং দীপ্তাংশু চৌধুরীকে মাথায় বসিয়ে নিজেদের আইটি সেলকে ঢেলে সাজিয়েছে তৃণমূল। তাতেই ক্ষান্ত হননি নেতৃত্ব। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি তদারকি করছেন আইটি সেলের কাজের। সেপ্টেম্বরে দলের ডিজিটাল সৈনিকদের নিয়ে বিশেষ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। নাম— ‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস ডিজিটাল কনক্লেভ’। সেখানে দলের ডিজিটাল ‘সৈনিক’দের সামনে প্রধান বক্তাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই।

অন্য দিকে, বাংলায় বিজেপি-র আইটি সেলের কাজ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজখবর রাখা শুরু করেছেন খোদ অমিত শাহ। জুন মাসে যখন কলকাতা সফরে এসেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি, তখন আইটি সেলকে নিয়ে তিনি নিজেই বৈঠক করেছিলেন হাওড়ার শরৎ সদনে। বাংলায় বিজেপি-র আইটি সেল যতখানি সক্রিয় সে সময়ে ছিল, তা নিয়ে নিজের অসন্তোষ অমিত শাহ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন। ডিজিটাল পরিসরে তৃণমূলের চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতে হবে বিজেপিকে এবং বুথ স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে আইটি সেলের সংগঠন— এই বার্তা খুব স্পষ্ট করে দিয়ে গিয়েছিলেন অমিত।

আরও পড়ুন: ‘জয় গণতন্ত্রে’র, স্বস্তি মমতার

স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বাংলায় সোশ্যাল মিডিয়ার লড়াইকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন দুই প্রধান প্রতিপক্ষের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। আপাতত সামনে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। সে নির্বাচনে ভাল ফল করতে হলে ডিজিটাল যুদ্ধটা অত্যন্ত মন দিয়ে করতে হবে বলে যে দু’দলের নেতারাই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, এখন তা স্পষ্ট।

অভিষেকের নেতৃত্বে যে ডিজিটাল কনক্লেভ হতে চলেছে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর, তা আয়োজিত হচ্ছে নজরুল মঞ্চে। অন্তত ৫ হাজার ‘ডিজিটাল সহায়ক’কে নিয়ে সেই সভা হবে। অত্যন্ত সংগঠিত ভঙ্গিতে সেই কর্মসূচির দিকে এগোতে শুরু করেছে তৃণমূল। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নাম নথিভূক্ত করাতে বলেছে দল। নথিভুক্ত ডিজিটাল সহায়কদের জন্য পরিচয়পত্র তৈরি করা হচ্ছে। সেই পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়েই ঢুকতে হবে নজরুল মঞ্চের কর্মসূচিতে। ইচ্ছা করলেই যে কেউ হাজির হতে পারবেন, এমনটা নয়। সভায় যোগদানকারীর সংখ্যাটা ৫ হাজারে পৌঁছবে বলে তৃণমূলের আইটি সেল সূত্রেই জানানো হচ্ছে।

নজরে নির্বাচন, ডিজিটাল সৈনিকদের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: পুরবোর্ড ভাঙার নির্দেশ চন্দননগরে

বিজেপি-র আইটি সেলে খোঁজ নিলেও ঠিক একই সংখ্যার কথা শোনা যাচ্ছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ জুন মাসে আইটি সেলকে নিয়ে হাওড়ায় যে বৈঠক করেছিলেন, সেই বৈঠকে যোগ দিতেও ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক শরৎ সদনে পৌঁছেছিলেন বলে বিজেপি-র রাজ্য আইটি সেলের প্রধান উজ্জ্বল পারেখের দাবি। উজ্জ্বল বললেন, ‘‘শরৎ সদনে ১২০০ আসন রয়েছে। কিন্তু অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে ৫ হাজার লোক পৌঁছেছিলেন। অধিকাংশকেই আমরা ভিতরে ঢুকতে দিতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে অমিত শাহ সে দিন সভা করেছিলেন।’’

উজ্জ্বল আরও জানালেন, বুথ স্তর পর্যন্ত ডিজিটাল সেলকে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। যত দ্রুত সম্ভব সেই লক্ষ্য পূরণের দিকে এগোচ্ছে বিজেপি-র আইটি সেল। রাজ্যে ৭৭ হাজারের মতো বুথ। সব বুথে ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ খুব সহজ কথা নয়। বিজেপি-র আইটি সেল সূত্রে খবর, সব বুথে নিয়োগ করা এখনও সম্ভবও হয়নি। তবে প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ আগেই খোলা হয়েছিল। সেগুলো নিয়মিত দেখভাল করা, সচল রাখা এবং অনবরত সরকারের নানা জনকল্যাণমূলক কাজ ও বিজেপি-র নানা কর্মসূচির প্রচার সেখানে চালিয়ে যাওয়ার জন্য যত বড় টিম দরকার, তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাজ্য আইটি সেল জেলায় জেলায় আইটি সেল গড়ে দিয়েছে। জেলার সংগঠন লোকসভা কেন্দ্রভিত্তিক আইটি দল তৈরি করেছে। সেই স্তরের নেতারা আবার মণ্ডল স্তরে আইটি সেল গড়ে দিয়েছেন। এই মণ্ডলের আইটি কর্মীরা এ বার একেবারে নীচের স্তরে যাচ্ছেন এবং প্রত্যেক বুথে বিজেপি-র জন্য ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনকে ঘিরে ধুন্ধুমার

তৃণমূলের আইটি সেলও কিন্তু প্রায় একই কায়দায় এগোচ্ছে। তৃণমূল আইটি সেলের দেখভাল যাঁরা করছেন, তাঁদেরই এক জন জানালেন, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ খুলেছেন তাঁরা। সেই সব পেজ নিয়মিত দেখভাল করার জন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিয়মিত পোস্টও করছেন ডিজিটাল সহায়করা। তবে ডিজিটাল সহায়কের সংখ্যা এ বার আরও অনেকটা বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। সংখ্যাটা ৪০ হাজারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলার শাসক দলের।

কী ভাবে পৌঁছনো যাবে সেই সংখ্যায়?

তৃণমূল সূত্রে জানানো হচ্ছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া কনক্লেভে যাঁরা যোগ দেবেন, তাঁরা ওই কনক্লেভেই দলের ডিজিটাল রণকৌশলের রূপরেখা জেনে যাবেন। কী ভাবে প্রচার করতে হবে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দলের অবস্থান কী ভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে, সরকারের নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে কী ভাবে প্রচারে আনতে হবে, প্রতিপক্ষের আক্রমণের জবাব কী ভাবে দিতে হবে— সে সব বিষয় ওই কনক্লেভেই বিশদে ব্যাখ্যা করবেন সুপর্ণ মৈত্র ও দীপ্তাংশু চৌধুরী। প্রধান বক্তা অভিষেকও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেবেন। সেই নির্দেশ এবং রূপরেখার ভিত্তিতে নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে কাজ শুরু করবেন ডিজিটাল সহায়করা। প্রত্যেকেই ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করবেন আরও কিছু ডিজিটাল সহায়ক। এই ভাবে একেবারে নীচের স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া হবে দলের ডিজিটাল নেটওয়ার্ক। সংখ্যাটা ৪০ হাজারে পৌঁছে দেওয়া খুব কঠিন নয় বলে নেতৃত্ব মনে করছেন।

বিজেপি-র ভঙ্গিটা অবশ্য আর একটু পেশাদার। নিজেদের আইটি সেলের জন্য সর্বত্র অফিস তৈরি করছে গেরুয়া শিবির। ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের অফিস ছোট। সেখানে স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না বলে দক্ষিণ কলকাতায় আইটি সেলের জন্য আলাদা রাজ্য অফিসের বন্দোবস্ত হচ্ছে। সাড়ে পাঁচ হাজার বর্গফুটের অফিস নেওয়া হয়েছে বলে খবর। সে অফিসের বিষয়ে উজ্জবল পারেখ কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না। তবে জানালেন, শুধু রাজ্য স্তরে নয়, সব স্তরেই আইটি সেলের অফিস তৈরি হচ্ছে। তিনি বললেন, ‘‘বিজেপি এখন গোটা রাজ্যে পার্টি অফিস তৈরি করছে। জেলায় জেলায় অফিস হচ্ছে। মণ্ডল স্তরে হচ্ছে। এই সব পার্টি অফিস কিন্তু কেউ নিজেদের ইচ্ছা মতো বানাতে পারবেন না। অফিস কেমন হবে, তার নির্দিষ্ট নকশা (টেমপ্লেট) রয়েছে। সেই নকশাতেই বলে দেওয়া হয়েছে, সব পার্টি অফিসে আইটি সেলের জন্য আলাদা ঘর রাখতে হবে।’’ রাজ্য আইটি সেলের প্রধানের কথায় স্পষ্ট, একেবারে নীচের স্তর পর্যন্ত আইটি সেলের জন্য অফিসের ব্যবস্থা হচ্ছে। সেই অফিস থেকে নিয়মিত ডিজিটাল প্রচার চলবে। জাতীয় বা রাজ্য নেতৃত্বের বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি ওই সব অফিস থেকে বিজেপি-র ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় স্তরের ইস্যুগুলোকে তুলে ধরবেন এবং নিবিড় ডিজিটাল প্রচার শুরু করবেন। গ্রাম বা বুথ স্তরের ইস্যুকেও চর্চায় এনে অনেক বেশি সংখ্যক লোককে নিজেদের আইটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জুড়ে ফেলতে চাইছে বিজেপি।

নজরে বাংলা, জেলায় জেলায় আইটি সেল অমিতের নির্দেশে

রাজ্য স্তর থেকে মণ্ডল বা বুথ স্তর পর্যন্ত যে ভাবে আইটি সেলের অফিস তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি, তাতে খরচের প্রসঙ্গটাও উঠে আসছে। আইটি অফিসগুলো নিয়মিত সচল রাখার জন্য যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের জন্য কি কোনও ভাতার ব্যবস্থা করবে দল? বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, কোনও ভাতা নেই। ডিজিটাল দুনিয়ায় অনেকেই বিজেপি-র জন্য সক্রিয়। তাঁদের মধ্যে থেকে সঠিক লোকজনকে বেছে নেওয়া হবে। তাঁরা এখন যেমন স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন, তখনও তেমনই দেবেন। তবে দলের নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয়ে এবং দলের নির্দেশিকা মেনে আরও সংগঠিত ভাবে কাজ করবেন।

তৃণমূলও ঠিক একই কথা বলছে। ডিজিটাল সেলের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরই এক জন জানালেন, অনেকেই নিজেদের মতো করে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়া পেজ খুলেছেন বা গ্রুপ তৈরি করেছেন। তাঁরা নিয়মিত তৃণমূলের হয়ে প্রচার চালিয়ে থাকেন। ডিজিটাল কনক্লেভের মাধ্যমে তাঁদেরকেই নথিভুক্ত করে নেওয়া হবে। তার পর থেকে দলের বেঁধে দেওয়া রূপরেখা মেনে তাঁরা প্রচারগুলো চালাবেন। এর জন্য টাকাপয়সার লেনদেনের কোনও প্রশ্নই নেই।

অর্থাৎ ডিজিটাল যুদ্ধে জিততে দুই দলই জোর দিচ্ছে স্বেচ্ছাশ্রমের উপরে। আর দুই দলই বলছে, নির্দিষ্ট রূপরেখা মেনে প্রচার চালানোর কথা। ভুয়ো খবর বা ভুয়ো ছবি পোস্ট করে দলের মুখ পোড়ানোর কাজ অনেকেই করেছেন ইতিমধ্যেই। দু’তরফেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সে সব যাতে না হয় এবং কোনও স্পর্শকাতর বিষয় বা প্ররোচনামূলক ফাঁদ যাতে এড়িয়ে চলা যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতেই ডিজিটাল সহায়ক বা ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য নির্দিষ্টও স্পষ্ট ‘গাইডলাইন’ তৈরি করে দিতে চাইছে তৃণমূল ও বিজেপি।

রাজনৈতিক নীতিতে ফারাক বিস্তর। গোটা দেশের রাজনীতিতেই বিজেপি এবং তৃণমূল এখন পরস্পরের ঠিক বিপরীত মেরুতে। কিন্তু ডিজিটাল রণকৌশল দুই দলের ক্ষেত্রেই প্রায় একই। ফারাক একটাই। বিজেপি নিজেদের আইটি সেলে লোক বাড়িয়েই ক্ষান্ত থাকছে না। ডিজিটাল প্রচারকে আরও সংগঠিত রূপ দিতে স্থানীয় স্তরেও আইটি অফিস তৈরির দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সে ভাবে কোনও আইটি ডেস্ক এলাকায় এলাকায় তৈরির কথা ভাবছে না। ওটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই তৃণমূলের ডিজিটাল সেল মনে করছে। বাংলার শাসক দলের ডিজিটাল সেলের এক শীর্ষ কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘প্রথমত, আমাদের অত অর্থবল নেই। দ্বিতীয়ত, কার কত বর্গফুটের অফিস, তা নিয়ে আমরা একটুও ভাবিত নই। কারণ বর্গফুট দিয়ে শুধু অফিসের মাপটাই নেওয়া যায়। মানুষের মনের মাপটা নেওয়া যায় না।’’

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

TMC BJP IT cell Lok Sabha Election 2019 West Bengal তৃণমূল বিজেপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy