মিথ্যাচার, ব্যর্থতা আর রাজনৈতিক ক্ষমতার দখলদারি— অভিযোগের এই তিন তিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাল্টা বিঁধল তৃণমূল।
তাঁর ভার্চুয়াল সভার পর থেকেই মঙ্গলবার শাহ-সহ গোটা বিজেপিকে আক্রমণে একযোগে নেমে পড়েছেন রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতারা। রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বাংলায় বিজেপির ক্ষমতা দখলের ডাক দিয়েছেন শাহ। পরপর ট্যুইট করে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য যখন অতিমারি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করছে, তখন অমিত শাহের লক্ষ্য এবং অগ্রাধিকার পরিষ্কার। আপনার এই ভোটের খিদেই মনে রাখবে বাংলা!’’
পরে শাহকে নিশানা করেই করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের উল্লেখ করে তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘‘আপনার জামা সাদা না আমার জামা, এখন তা বলার সময় নয়।’’
আরও পড়ুন: শাহ-ভাষ্যে সারদা-নারদ, সেই মঞ্চেই বক্তা মুকুল
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপশাসন ও দুর্নীতির অভিযোগ করে রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠন নিশ্চিত বলে এ দিনের সভায় দাবি করেন শাহ। সিন্ডিকেট, কাটমানির মতো অভিযোগ করেও তৃণমূলকে বিঁধতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা চালিয়েই ক্ষমতায় থাকার অভিযোগও করেছেন তিনি। তার জবাবে রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘উনি গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের অবস্থা দেখতে পাচ্ছেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই রাজ্যগুলির অবস্থা দেখতে যাওয়া উচিত তাঁর।’’
আরও পড়ুন: বিপুল সাহায্য বনাম বঞ্চনা, আর্থিক তরজা দুই অমিতের
দলীয় মঞ্চে এ দিন ঠিক যতটা রাজনৈতিক হয়ে উঠেছেন শাহ, তাঁকে ঠিক ততটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শাহের বক্তৃতার পরে দীনেশ বলেন, ‘‘আপনি শুধু বিজেপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন। গোটা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’’ করোনা পরিস্থিতিতে দেশবাসী দেশভাগের সময়ের মতোই দুঃসহ অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন বলে দাবি করে দীনেশ বলেন, ‘‘এত দিন পরেও আমরাও দেশভাগের যন্ত্রণার কথা যে ভাবে মনে করি, এক দিন দেশ এই দুর্ভোগের কথা সে ভাবেই মনে করবে। আর মনে করবে এই সময় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি!’’