ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে মহিলা কামরাতেও উঠেছেন পুরুষ যাত্রীরা। শনিবার সকালে, টিটাগড়ে। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
শাসক দলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন বড় কোনও বিভ্রাট ছাড়াই পরিষেবা দিল রেল ও মেট্রো।
বাসে চড়ে সমাবেশে এলেও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন বা মেট্রো ধরতে ছোটেন। ফলে দুপুরের পর থেকে হাওড়া, শিয়ালদহ এবং দমদম স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। সকালের পরে বিকেলের দিকে এ দিন মেট্রোতেও যাত্রীদের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি ছিল বলে খবর।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, সমাবেশ ফেরত ভিড় সামাল দিতে এ দিন শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার, শিয়ালদহ-কল্যাণী, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর এবং শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় চার জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হয়। যদিও রেলেরই অন্য একটি সূত্রের দাবি, বিকেলের দিকে শিয়ালদহে সমাবেশ ফেরত জনতার ভিড় বাড়ছে দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন শাখায় মাতৃভূমি লোকালগুলিকে কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত না রেখে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ দিন সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য শাসক দলের পক্ষ থেকে মূলত বাসের উপরেই নির্ভর করা হয়েছিল। কিন্তু সকালের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সেই সমস্ত বাস, মিনিবাস ও মালবাহী গাড়ির চাপে মধ্য কলকাতা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যার জের চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সেই কারণেই সকালের তুলনায় বিকেলে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে ভিড় বাড়ে বলে রেলকর্তাদের অনুমান। এর পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে গত দু’দিন ধরে সমাবেশে যোগ দিতে আসা কর্মী-সমর্থকেরাও এ দিন ফেরার ট্রেন ধরতে যান। সেই কারণেও সন্ধ্যার পরে স্টেশনে ভিড় বাড়ে। ফলে যাত্রীদের প্রায় সবাইকেই প্রবল ঠেলাঠেলির মধ্যে পড়তে হয়।
তবে মেন এবং কর্ড লাইন ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন শাখায় এ দিন ট্রেন চলাচল মোটের উপরে স্বাভাবিক ছিল। এ দিন মেট্রোয় সকাল থেকেই ভিড় চোখে পড়েছে। দমদম থেকে নিউ গড়িয়ামুখী ট্রেনগুলি ভিড়ে ঠাসা ছিল। দুপুরের দিকে মেট্রো কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বিকেলে সমাবেশ শেষ হওয়ার পরে পার্ক স্ট্রিট, এসপ্লানেড, ময়দান, রবীন্দ্র সদন স্টেশনে ভিড় আছড়ে পড়ে। ময়দান ও পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে ভিড় সামাল দিতে দু’টি প্রবেশপথ সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিতে হয়। রাতের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভিড়ের কারণে সাময়িক ভাবে দু’-একটি স্টেশনে অসুবিধা হয়েছিল। তবে পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy