শনিবার ট্রেনের সংখ্যা কিছুটা কমবে। ছবি: সংগৃহীত।
তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন রেল ও মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না।
বরং শনিবার হওয়ায় দুই ক্ষেত্রেই ট্রেনের সংখ্যা কিছুটা কমবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের আবেদনের ভিত্তিতে সকাল আটটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বাগবাজারের মধ্যে চক্ররেল ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
এর জন্য শিয়ালদহ-বি বা দী বাগ-মাঝেরহাট শাখায় ছ’টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। চক্ররেলের পাঁচ জোড়া ট্রেন কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত চলবে। তিন জোড়া ট্রেন শিয়ালদহ পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়া, আটটি ট্রেনকে কাঁকুড়গাছি হয়ে বালিগঞ্জের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পূর্ব রেল, দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং মেট্রো রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে রক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। খেয়াল রাখা হচ্ছে তথ্য আদানপ্রদান ও পারস্পরিক সমন্বয়ের উপরেও। রেল সূত্রের খবর, উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সমন্বয় এবং প্রয়োজনে জরুরি পরামর্শ দেওয়ার জন্য শিয়ালদহ স্টেশন সুপারের ঘরে সকাল থেকে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হচ্ছে। রেলের বিভাগীয় আধিকারিকেরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
হাওড়ায় রেল পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সমাবেশ উপলক্ষে ট্রেন পরিষেবা মসৃণ রাখার জন্য রেলের আধিকারিকদের চিঠি দেওয়ায় তাঁদের একাংশ ক্ষুব্ধ। যদিও সরকারি ভাবে রেলকর্তারা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হাওড়ায় কর্ড ও মেন ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-মেচেদা শাখার যাত্রীরা আসবেন। সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য রক্ষীর সংখ্য়া অন্য দিনের তুলনায় বাড়ানো হচ্ছে। তবে সমাবেশের কারণে রেলে যে অতিরিক্ত ভিড় হবে, তা সামাল দিতে পরিষেবার ক্ষেত্রে আলাদা কোনও ব্য়বস্থা করা হচ্ছে না বলেই রেল সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে এক রেলকর্তা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের মিছিল বা সভায় সমর্থকদের যাতায়াতের জন্য অর্থের বিনিময়ে ট্রেন ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও রেল নিজে কোনও বাড়তি ট্রেন চালায় না।’’
মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়দান, এসপ্লানেড এবং দমদম স্টেশনে কম্যান্ডো মোতায়েন করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে বাড়ানো হচ্ছে আরপিএফ কর্মীদের সংখ্যাও। জরুরি প্রয়োজনে তৈরি থাকছে ডগ স্কোয়াডও।
তবে সমাবেশের দিন শনিবার হওয়ায় মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা কমছে। সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে ৩০০টি ট্রেন চললেও এ দিন ৭৬টি ট্রেন কম চলবে। চালানো হবে মাত্র ২২৪টি ট্রেন। ফলে মেট্রোয় যাত্রীদের ঠাসাঠাসি ভিড়ের মুখে পড়তে হতে পারে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য রক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। স্টেশনগুলির নিরাপত্তাও আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy