Advertisement
E-Paper

জয় শ্রীরাম স্লোগানের ‘পাল্টা’ হোর্ডিং শহরে

তাতে লেখা থাকছে ‘বাংলা মোদের গর্ব’। সঙ্গে বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র বসু, নজরুল, অম্বেডকর-সহ আরও নানা মনীষীর ছবির কোলাজ।

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ০২:৩৬
এমন হোর্ডিংই লাগানো হচ্ছে শহর জুড়ে। নিজস্ব চিত্র

এমন হোর্ডিংই লাগানো হচ্ছে শহর জুড়ে। নিজস্ব চিত্র

জয় শ্রীরাম নয়। জয় হিন্দ হোক বাংলার স্লোগান। এমন ভাবনা থেকেই কলকাতা শহরে ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’-র প্রচারে জোর বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। কলকাতার সর্বত্র সেই স্লোগান ছড়িয়ে দিতে এ বার উদ্যোগী হল কলকাতা পুর প্রশাসনও। তাই দু’-এক দিনের ভিতরেই শহরের বিভিন্ন এলাকা ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’ লেখা হোর্ডিংয়ে ছেয়ে যাবে।

কী থাকবে ওই হোর্ডিংয়ে?

তাতে লেখা থাকছে ‘বাংলা মোদের গর্ব’। সঙ্গে বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র বসু, নজরুল, অম্বেডকর-সহ আরও নানা মনীষীর ছবির কোলাজ। ২০ ফুট বাই ১০ ফুট, ২৪ ফুট বাই ১২ ফুট— নানা মাপের কয়েকশো হোর্ডিং শহর জুড়ে লাগানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নতুন করে বঙ্গজননী কমিটি, জয় হিন্দ বাহিনী গড়ে শহর জুড়ে সভা সমাবেশ শুরু করেছে। এ বার জয় শ্রীরামের সঙ্গে পাল্লা দিতে তৈরি শাসক দল।

সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বিতর্ক ক্রমশই বাড়ছে। নৈহাটি, ভাটপাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনেও এক দল যুবক জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়। যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলেও তৈরি হয়েছে চরম অস্থিরতা। সেই ঘটনার পর থেকে রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর মোবাইল এবং টেলিফোনেও জয় শ্রীরাম বলে সম্বোধন করে উড়ো ফোন ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সোমবার নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকেও প্রসঙ্গটি তোলা হয়। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই জানান, তাঁদের মোবাইল এবং ল্যান্ডফোনে ফোন করে জয় শ্রীরাম বলে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা।

এ সবের মধ্যেই শহর জুড়ে জয় হিন্দ, জয় বাংলার প্রচার চালানো রাজ্য সরকারের ‘কৌশলী’ সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন পুরসভার কেউ কেউ। যদিও এই হোর্ডিং লাগানোর পিছনে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হবে, তার যৌক্তিকতা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, পুর বোর্ডের সিদ্ধান্তেই ওই প্রচার চালানো হচ্ছে। আর মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বজায় রাখতেই এই ধরনের প্রচার করতে বাধ্য হচ্ছি।’’

TMC BJP Jai Shree Ram Hoarding
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy