তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পদে আগেই বেশ কিছু রদবদল হয়েছিল। এ বার মহিলা, যুব এবং শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি পদেও ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। লোকসভা ভিত্তিক ফলের ভিত্তিতে যুব সংগঠনের একাধিক পদে নতুন মুখ এনেছে তৃণমূল।
বিদানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় কাঁথির যুব সভাপতি পদ খোয়ালেন সুপ্রকাশ গিরি। তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিকের অনুগামী জালালউদ্দিন খান। তমলুকেও সভাপতি বদল হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া পেয়েছেন প্রসেনজিৎ দে। শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির কাঁথি জেলা কমিটির সভাপতি বিকাশ বেজকেকে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছে। নতুন জেলা সভাপতি হয়েছেন শিবরাম মাইতি। মহিলা তৃণমূলের কাঁথি জেলা সভাপতি ছিলেন রিজিয়া বিবি। তাঁকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হয়েছে শতরূপা পয়ড়্যাকে। তবে তমলুক সাংগঠনিক জেলায় মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে পুনর্বহাল হয়েছেন শিবানী দে কুণ্ডু।
এ দিন তৃণমূলের নতুন তালিকা প্রকাশের পরই জলপাইগুড়ির ভারপ্রাপ্ত যুব সভাপতি রামমোহন রায়কে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, রামমোহন ময়নাগুড়িতে ভিলেজ পুলিশ হিসেবে কর্মরত। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘আমরা শুধু পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে ভাবিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই নিরপেক্ষতা আশা করাও বৃথা।’
নদিয়ার রানাঘাটে বিজেপি থেকে দলে আসা বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কৃষ্ণনগরে দলত্যাগী প্রয়াত গৌরীশঙ্কর দত্তর ছেলে অয়ন দত্তকে সভাপতি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের জেলা সভাপতি হয়েছেন নতুন সাংসদ বাপী হালদার। মহিলা শাখায়ও প্রায় একডজন জেলা সভাপতি বদল করেছে তৃণমূল। আবার দুই সংগঠনেই আগের কমিটির একাধিক সভাপতিই ফের দায়িত্ব পেয়েছেন। শ্রমিক সংগঠনের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু জেলায় এই বদল হয়েছে। হাওড়া শহর মহিলা জেলা কমিটির সভাপতি হয়েছেন আরও এক বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)