পুরুলিয়ার সভায় শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
তিন দিন আগে যে মাঠে দাঁড়িয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন, সেই মাঠেই রবিবার তৃণমূল পাল্টা স্লোগান দিল— ‘২০১৯, বিজেপি ফিনিশ’! গলা মেলাল মাঠ উপচে রাস্তায় উঠে যাওয়া কর্মী-সমর্থকদের ভিড়।
পুরুলিয়ার শিমুলিয়া মাঠে বৃহস্পতিবার দলীয় সভায় শাহের মূল আহ্বান ছিল, ‘‘তৃণমূলকে উৎখাত করুন।’’ পাল্টা সভায় এ দিন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা থেকে শুরু করে তৃণমূলের সব নেতা-নেত্রীই ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপিকে হঠানোর ডাক দিলেন। শাহ বলেছিলেন, আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যে ২২টির বেশি আসন জিতে এক নম্বর স্থানে চলে যাবে বিজেপি। ফিরহাদ এ দিন দাবি করেন, ‘‘লোকসভার ৪২টি আসনেই জিতবে তৃণমূল।’’ আরও এক কদম এগিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমরা এ বার দিল্লিতে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই।’’
এ রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন শাহ। তার জবাবে এ দিন শুভেন্দু দেশের কয়েকটি উপনির্বাচনে বিজেপি-র খারাপ ফলের কথা মনে করিয়ে দিয়ে দাবি করেন, ‘‘গোটা দেশ জুড়ে বিজেপির উলটপুরাণ শুরু হয়েছে। সেই জন্যই আমি বলি, আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাববি বাংলা।’’
এ বার পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়ার ২০টির মধ্যে ৬টি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি দখল করেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদেও তারা মন্দ ফল করেনি। তার পরেই বলরামপুরে দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। সেই সূত্রেই পুরুলিয়ায় শাহের সভা তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। ফিরহাদের অভিযোগ, ‘‘ওরা ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীদের টাকা দিয়ে বাংলায় এনে নির্বাচন করিয়েছে। পরে যখন টাকা পাচ্ছে না, তখন পুরুলিয়ায় ঢুকে খুন করছে। আর নাম দিচ্ছে তৃণমূলের।’’
ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো দাবি করেন, ‘‘বিজেপি ঝাড়খণ্ড ও বাইরের জেলা থেকে লোক এনে সভা করেছিল। আমরা শুধু জেলার লোক দিয়েই মাঠ ভরিয়েছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপির সভার মতোই এ দিনও প্রায় ৩৫ হাজার লোকের ভিড় হয়েছিল। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘আমাদের ভিড়ের ধারে-কাছেও ওরা পৌঁছতে পারেনি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy