Advertisement
০৭ অক্টোবর ২০২৪
Monsoon Session

‘সন্ত্রাসের দায় বিরোধীদের’, সচেষ্ট শাসক

রাজনৈতিক মঞ্চে হিংসার ব্যাপকতা অস্বীকার করার পাশাপাশি ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করে তার জন্য বিরোধীদের দায়ী করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

Legislative assembly

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৩ ০৭:৫৯
Share: Save:

পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আগেই তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মঞ্চের সেই সেই অভিযোগকে এ বার বিধানসভায় নথিবদ্ধ করাতে উদ্যোগী হল শাসক শিবির। সরকারি প্রস্তাব এনে হিংসা সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে চলতি অধিবেশনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় যাওয়ার কথা। রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা, প্রশ্নোত্তর-পর্বের পরে সেই সংক্রান্ত বার্তা স্পষ্ট করে দিতে পারেন তিনিই। সরকার পক্ষের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে বিরোধীরা বলছে, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’!

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে হিংসার ঘটনায় রাজ্যে অন্তত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার এই হিংসার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক মঞ্চে হিংসার ব্যাপকতা অস্বীকার করার পাশাপাশি ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করে তার জন্য বিরোধীদের দায়ী করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই অভিযোগ নিয়ে এ বার শাসকের তরফে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তাব আসছে। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বুধবার বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আমরাও আলোচনা চাইছি। তা কী ভাবে হবে, দু-এক দিনের মধ্যেই ঠিক করে স্পিকারের কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে।’’

সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতে হিংসা নিয়ে এই আলোচনায় অংশ নিতে চাইছে বিজেপি। নির্বাচন চলাকালীন তাদের দলের প্রার্থী-কর্মীদের কী অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে হয়েছে, সে সব নথিবদ্ধ করাতে চায় বিরোধী দলও। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘‘মনোনয়ন, ভোট এবং গণনা— এই তিন পর্বে শাসক দল কী কাণ্ড করেছে, সকলেই দেখেছে। রাজ্য পুলিশের বড় অংশ পুরোপুরি তৃণমূলের বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে। পঞ্চায়েতে রাজ্য জুড়ে এই হিংসার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে।’’

এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ নিয়ে সরব বিরোধীদের মধ্যে আইএসএফ অন্যতম ছিল। আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীও এ নিয়ে আলোচনা চেয়েছেন। ভাঙড়ের এই বিধায়কের কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে যে ভাবে আমাদের দলীয় কর্মীদের হিংসার শিকার হতে হয়েছে, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হওয়া দরকার।’’ বিষয়টি নিয়ে সরকার পক্ষের প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, উপ-মুখ্যসচেতক তাপস রায় এই প্রস্তাব আনবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE