কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূলের এক উপপ্রধান। মারধরের ঘটনায় জখম হয়েছেন রাজ্য পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (এএসআই) পদমর্যাদার এক আধিকারিক।
মুর্শিদাবাদের নিউ ফরাক্কা ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিকের নাম তাপস ঘোষ। তিনি ফরাক্কা ট্রাফিকে কর্মরত। এই ঘটনায় ফরাক্কা বেওয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তারিকুল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে কিছু ক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে যায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাটবোঝাই একটি ইঞ্জিনভ্যান নিউ ফরাক্কা ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মালদহের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় কর্তব্যরত এএসআই ওই ভ্যানটিকে আটকান। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা জানান, ওই ভ্যান ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। আর নিয়ে যেতে গেলে মুচলেকা দিতে হবে। ইঞ্জিনভ্যানের চালক বিষয়টি মালিককে জানান। কিছু ক্ষণের মধ্যে মালিক নিউ ফরাক্কা ট্রাফিক মোড়ে এসে কর্তব্যরত এএসআই-এর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাতে জখম হন এএসআই। মালিক নিজেকে বেওয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলে পরিচয় দেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ফরাক্কা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে থেকে আটক করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রহমান মণ্ডল বলেন, ‘‘হাইরোড দিয়ে ইঞ্জিনভ্যানের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। উপপ্রধান এসে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি করেন। উপপ্রধান বলেন ‘কী করে চাকরি করিস দেখে নেব!’ এর পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে দু’পক্ষ। উপপ্রধান এক অফিসারকে ঘুষি মারেন।’’
তারিকুল পরে বলেন, “আমি বেওয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। আমার একটা ভ্যান আছে। ওই ভ্যানে করে পাট পাঠাচ্ছিলাম মালদহে। আমার ভ্যান আটকেছিল পুলিশ। চাবি নিয়ে নিয়েছিল। এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে গিয়েই কথা কটাকাটি হয়।”