Advertisement
E-Paper

বীজপুরে ফের খুন তৃণমূল কর্মী

দলীয় কর্মী খুন, আর সেখানেও অভিযোগের তির দলেরই একাংশের দিকে। বিয়েবাড়িতে কেটারিংয়ের কাজ সেরে ফেরার পথে বীজপুরের কাঁপা নাবদা এলাকায় খুন হয়ে গেলেন এক তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় অভিযোগের তির ঘুরে গিয়েছে তৃণমূলেরই কয়েকজন নেতার দিকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৬ ০২:৪৫

দলীয় কর্মী খুন, আর সেখানেও অভিযোগের তির দলেরই একাংশের দিকে।

বিয়েবাড়িতে কেটারিংয়ের কাজ সেরে ফেরার পথে বীজপুরের কাঁপা নাবদা এলাকায় খুন হয়ে গেলেন এক তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় অভিযোগের তির ঘুরে গিয়েছে তৃণমূলেরই কয়েকজন নেতার দিকে। নিহত চিরঞ্জীব বসুর (২৩) বাড়ি কল্যাণীর গয়েশপুরে। বুধবার সন্ধ্যায় চিরঞ্জিতের দেহ এলাকায় নিয়ে আসার পর উত্তেজনা শুধু ছড়ায়নি, বেঁধেছে ধুন্ধুমার কাণ্ড। খোলা অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় ছোটাছুটি, মুহুর্মুহু বোমা বাদ যায়নি কিছুই। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন চিরঞ্জীব। উঠে এসেছে দলের এক পরিচিত নেতার নামও।

বীজপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বীজপুরের কাঁপা নাবদা এলাকায় রাস্তার উপর মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় চিরঞ্জীবকে। সে যে দলের পরিচিত মুখ, জানা গিয়েছে তা-ও।

অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা মরণ দে ও সাহেব কুরিদের সঙ্গে ওই যুবকের বনিবনা হচ্ছিল না। অনুষ্ঠান বাড়িতে কফি মেশিন ভাড়া দিয়েই তার দিন গুজরান। মঙ্গলবার রাতেও এক বিয়ে বাড়িতে ভাড়া দেওয়া কফি মেশিন নিয়ে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার নীরজ সিংহ বলেন, ‘‘খুনের অভিযোগ হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ ময়না তদন্তের পর এ দিন সন্ধ্যাতে চিরঞ্জিবের মৃতদেহ গয়েশপুরে ফেরানো হয়। তার পরই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, আপাত নিরীহ ছেলেটির কারওর সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। তাকে রাজনৈতিক শত্রুতার শিকার হতে হল। সন্ধ্যাতেই বেদীভবনের রাস্তায় অবরোধ শুরু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলেও অবরোধ তুলতে পারেনি। এরই মধ্যে সিপিএম নেতা তথা গয়েশপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোপাল চক্রবর্তী চিরঞ্জীবের বাড়িতে যান। কিন্তু বর্তমান পুরপ্রধান তথা গয়েশপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি সেখানে না যাওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা অবরেধকারীদের হটাতে এলে গণ্ডগোল চরমে পৌঁছয়। রাতের দিকে শুরু হয় বোমাবাজি। পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও, রাত পর্যন্ত এলাকা অশান্তই ছিল।ঘটনা প্রসঙ্গে মরণবাবু বলেন, ‘‘দুপুরেই ঘটনাটি শুনি। ছেলেটিকে ভাল করে চিনতামও না। খুনের কারণ আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’’

tmc murdered
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy