তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং লোকসভায় তৃণমুল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরব হলেন লোকসভায় তৃণমুল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, বিশ্বভারতীকে ‘বিজেপির আখড়া’ বানিয়ে তোলার অভিযোগ করলেন আর এক তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এই নিয়ে এ দিন বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শুক্রবার সাংসদ সুদীপ তারাপীঠে পুজো দিতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাবর্তনে অনেকের আমন্ত্রণ না-পাওয়া প্রসঙ্গে সুদীপ জানান, লোকসভার স্পিকারের মনোনীত হিসেবে তিনি বিশ্বভারতীর কোর্ট সদস্য। তিন বছরের বেশি সময় ধরে কোর্ট সদস্য থাকা সত্ত্বেও বর্তমান উপাচার্য কখনও তাঁকে বিশ্বভারতীতে আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজন বোধ করেননি। কোনও বৈঠকেও ডাকেননি। এর পরেই ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সমাবর্তন উৎসবের খবর দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে, রেজিস্ট্রি ডাকে। আমিও তাঁকে (উপাচার্য) এটা অপ্রত্যাশিত, অভাবনীয় এবং অনুচিত বলে জবাব দিয়েছি। পাশাপাশি মনে করিয়েছি যে, তিনি এ কাজ করতে পারেন না। কারণ লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে আমার আগাম কর্মসূচি থাকতেই পারে।’’ সুদীপের হুঁশিয়ারি, ‘‘এই উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে মানেন না, অমর্ত্য সেনকে অপমান করেন। আমি ওঁকে ছাড়ব না!’’ সুদীপ জানান, প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দরকারে তিনি নরেন্দ্র মোদীকেও জানাবেন।
এ দিনই সিউড়ির একটি অনুষ্ঠানে শতাব্দী রায় অভিযোগ করেন, ‘‘(বিশ্বভারতীকে) বিজেপির আখড়া তৈরি করে ফেলেছেন উপাচার্য। উনিও বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন, সেটা আগেও আমরা বারবার বলেছি। আজ সেটা প্রমাণস্বরূপ মানুষ দেখছে।’’ ও দিকে, হুগলির চণ্ডীতলায় একটি অনুষ্ঠানে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সমাবর্তনে অনেকের আমন্ত্রণ না-পাওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপার। তারা ঠিক করবে কাকে ডাকবে, কাকে ডাকবে না। সুতরাং, এটা নিয়ে আমাদের মন্তব্য না করাই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy